ওমরাহযাত্রীদের জন্য বিমানের ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ
আসন্ন রমজান মাসে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ওমরাহ পালন নিশ্চিত করতে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (হজ-২) এসএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ওমরা যাত্রীসহ আগামী হজ মওসুমে হজ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সৌদি আরবে গমন-প্রত্যাগমন নিশ্চিত করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে চলাচলকারী বিমানের ট্রানজিট যাত্রী হয়ে ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে গমনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে সৌদি আরবের অন্যান্য এয়ারলাইন্সকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।
ওমরাহ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সৌদি আরব গমনের লক্ষ্যে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি শীর্ষক ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ওমরাহ পালন বন্ধ থাকার পর গত বছরের (২০২১ সালের) আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। দীর্ঘদিন পর পুনরায় সুযোগ আসায় বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যক ওমরাহযাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। করোনা মহামারির কারণে বিদেশে চাকরিরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের গমনাগমনও দীর্ঘদিন সীমিত ছিল। তবে বর্তমানে বিদেশগামী বিশেষ করে সৌদি আরবগামী বিমানযাত্রীর সংখ্যা পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
এতে আরও বলা হয়, করোনা মহামারির পূর্বে বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের বিমানের যাত্রী হয়ে ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবে গমন করতে পারতেন। তবে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের ওমরাহযাত্রীরা শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সে সৌদি আরব গমন ও প্রত্যাগমন করতে পারেন। এর ফলে সৌদি আরবগামী বিমানযাত্রীর সংখ্যা একদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা কমেছে। সে কারণে বর্তমানে বিমানের টিকিট পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিমান টিকিট সংকটের কারণে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী কিছুদিনের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অন্যান্য সময়ের চেয়ে পবিত্র রমজান মাসে অধিক সংখ্যায় ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করেন। বিগত ২টি রমজানে ওমরাহযাত্রীরা সৌদি আরবে যেতে না পারায় এ বছর ওমরাহ পালনে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিমানের ফ্লাইট অপ্রতুলতার কারণে রমজান মাসে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক সব ওমরাহযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবেন কি না সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ অবস্থায় ওমরাহযাত্রীদের এবং আগামী হজ মওসুমে হজযাত্রীদের নির্বিঘ্নে সৌদি আরব গমন এবং প্রত্যাগমনের লক্ষ্যে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমইউ/কেএসআর/এমএস