আ’লীগ নেতা খুন: গুলি করতে করতে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, টিপুর গাড়ি আমতলা রেলগেটে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে দুই দুর্বৃত্ত গাড়ির কাছে যায়। পরে গাড়ির জানালা দিয়ে টিপুকে লক্ষ্য করে ৮-১০ রাউন্ড গুলি করে। একটি গুলি টিপুর মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায়। এসময় বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে বের হয়ে যাওয়া গুলিতে রিকশা আরোহী সামিয়া আফরান ওরফে প্রীতি (২২) নিহত হন। সামিয়া রাজধানীর বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত দুজন জাহিদুল ইসলাম টিপুকে লক্ষ্য করে ৮-১০ রাউন্ড গুলি করে। এসময় টিপু ও পথচারী প্রীতি (২২) নামের একজন নিহত হন। দুজন দুর্বৃত্ত যখন ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই রিকশা আরোহী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন।
কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে জানতে চাইলে ডিসি আহাদ বলেন, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি নিয়ে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল সিআইডি ক্রাইম সিনসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। তদন্তের স্বার্থে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা দরকার আমরা তা করেছি।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণী বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলার আসামি ছিলেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু। পরে তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ। তখন তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
টিটি/ইএ