ফুলবাড়িয়া মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, ধানমন্ডিতে বাড়ি সিলগালা

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, ঢাকা মেডিকেলের সামনে, শাহবাগ ও ধানমন্ডি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এসব অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি বাড়ি সিলগালা এবং দুইজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার ও আফিফা খান মঙ্গলবার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর এ ও বি ব্লকের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলার অবৈধ দোকান ও দখলদার উচ্ছেদে অভিযান চালান। অভিযানকালে অবৈধভাবে দখল করা দোকান খালি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলে অধিকাংশ দোকানের দখলদারেরা খালি করে দেন। কিছু দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে গড়িমসি করলে সে দোকানের মালামাল স্পট নিলামের মাধ্যমে ৭১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ বুধবারও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেলের সামনের ফুটপাত থেকে অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়। এসময় জব্দ করা মালামাল ১০ হাজার টাকায় স্পট নিলামে বিক্রি করা হয়। অভিযানে চার মামলায় চার জনকে ৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ফুটপাত দখল করে দোকান বানিয়ে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় মোহাম্মদ জসিম ও মোহাম্মদ আল আমিন নামে দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে ১৫ দিন ও সাতদিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
পরে সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে শাহবাগে ফুটওভার ব্রিজের নিচের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে অপসারণ করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে ‘লেডি এন বস’ নামে ৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি বাড়ি সিলগালা করে দেন।
বাড়ি সিলগালা প্রসঙ্গে মো. হায়দর আলী বলেন, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় না করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া একটি ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আবাসিক ভবনটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। তাই, সেখানে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এমএমএ/এমআরআর