তিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৯ জনকে জেল-জরিমানা


প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীর ভাটারা ও মধ্যবাড্ডা এলাকায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব)। পরে র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ল্যাবকো ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ও মেডিকেল সেন্টার, ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেন্ট সেন্টার এবং আল-সামি হাসপাতালের ৯ জনকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ভুয়া এক ডাক্তারকে কারাদণ্ড প্রদান করে।
 
অর্থ দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. বেলায়েত হোসেন (৩৭), জোবায়ের আহমদ (৫০), শাহাজুর রহমান (৪২), রুহুল আমিন শেখ (৬৫), মো. জাহিদুজ্জামান (৫২), মো. তরিকুল ইসলাম (২৯), মো. শামসুল আলম (৫০), কিসলু মিয়া (২৭) ও কামরুল আলম ফয়সাল (৩৫)।
 
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রসাশনের তত্ত্বাবধায়ক সৈকত কুমার কর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম ও সহকারী পরিচালক ডা. শাহজাহান।
 
র‌্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, রাজধানীর পূর্ব ভাটারা এলাকার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেন্ট সেন্টার এবং ল্যাবকো (ডিজিটাল) ডায়াগনস্টিক ও মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স; ইসিজি, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণবিহীন টেকনিশিয়ান, অপারেটর দ্বারা মানহীনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আনবিক শক্তি কমিশনের অনুমতি না থাকা; এক্স-রে মেশিনের লাইসেন্স না থাকা; সেবার মূল্য তালিকাও নেই। ল্যাবে রিএজেন্ট রাখার যোগ্য ও মানসম্মত ফ্রিজ না থাকা; এক্স-রে রুমের সামনে নির্দেশিকা না থাকা সহ কোন ডাক্তারি সনদ ব্যতীত ভুয়া ডাক্তার হয়ে রোগীদের কনসালটেন্সি করা ইত্যাদি অপরাধে ৪ জনকে আটক করেন।
 
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের এরূপ দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৯/৫২ ধারা মোতাবেক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেন্ট সেন্টার এর সাথে সংশ্লিষ্ট দুই জনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
 
অন্যদিকে ল্যাবকো (ডিজিটাল) ডায়াগনস্টিক ও মেডিকেল সেন্টারের মো. রুহুল আমিন শেখ’কে একই আইনের ৫২ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
 
ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেন্ট সেন্টার এর ভুয়া ডাক্তার মো. শাহাজুর রহমানকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
 
এছাড়া প্রায় একই ধরণের অপরাধে মধ্যবাড্ডা এলাকার আদর্শনগরে আল-সামি হাসপাতালের চার জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই আইনে সাড়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
 
জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।