পুলিশ চাইলে যানজট নিরসন সম্ভব : নৌমন্ত্রী
ঢাকা মহানগর পুলিশ সত্যিকার অর্থে চাইলে রাজধানীর যানজট নিরসন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান। বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় শুরু হয়ে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যানজট নিরসনে কি ধরণের সমস্যা ও পদক্ষেপ নেয়া যায় জানতে চাইলে ডিএমপি’র ট্রাফিকের ডিসি (পূর্ব) মাইনুল ইসলাম বলেন, গুলিস্তানে বাস ওভারকেট করার প্রতিযোগিতায় নামে, সিরিয়াল মানে না, সরু রাস্তায় তিন লাইন হয়ে যায়। ফুটপাতও দখলে নেয়।
এখানে মানুষ কিভাবে বাসে উঠবে নামবে তার কোনো ব্যবস্থা নেই, বাস দাঁড়ানোরও জায়গা নেই, যাত্রীদের রাস্তা পাড়াপাড়েও ব্যবস্থা নেই। রাস্তার অবস্থাও ভালো নয়। একারণে আন্তরিকতা সত্যেও যানজট কমানো যাচ্ছে না। জনবলও অনেক কম। যোগ করেন মাইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যানজট নিরসনকল্পে যাত্রীরা কোথায় দাঁড়াবেন, বাস কোথায় দাঁড়াবে, স্টপেজ কয়টা হবে তা নির্ধারণ করাও জরুরি।
ডিএমপির ট্রাফিকের ডিসি (দক্ষিণ) খান মো. রেজওয়ান বলেন, শুধু উচ্ছেদ আর ফুটপাত দখলমুক্ত করলেই হবে না। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও নিতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যাদেরকে আপনি উচ্ছেদ করছেন, তাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের উচ্ছেদ করবেন তারা আবারো রাস্তাতেই এসে বসবেন।
এ কথার প্রেক্ষিতে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, পুলিশ যদি চায় তাহলে রাস্তায় হকার দাঁড়াতে পারবে না। এসব নিরসনের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশের। কিন্তু কয়েকদিন পর আবারো হকাররা ফুটপাত দখল করছে। রাস্তা দখল হচ্ছে।
পুনর্বাসনের কথা বলে, মানবিক দিকের কথা বলে ঢাকা শহরকে রক্ষা করা যাবে না, এজন্য কঠোর হতেই হবে। মেয়রের লোক, দলীয় লোক, পুলিশের লোক এমন পরিচয়ের কাউকে পাত্তা না দিয়ে যানজট নিরসনে হকারদের উচ্ছেদ করতে হবে। এজন্য পুলিশকে কঠোর হওয়ার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সভায় রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান মো. এনায়েতুল্লাহ, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বাস ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ও সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/একে/আরআইপি