স্বাভাবিক হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনজীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফেজ মাসুদুর রহমান (১৮) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার তার বিক্ষুব্ধ সতীর্থদের চালানো তাণ্ডবের পর এখন শান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। বুধবার সকাল থেকেই শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। দোকান-পাট, বিপণী বিতার ও ব্যাংক-বীমার অফিসগুলো যথা সময়েই খুলেছে। এছাড়া সকাল থেকেই দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। তবে গতকালের সহিংসতার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। যদি কেউ অভিযোগ নিয়ে আসনে তাহলে মামলা গ্রহণ করা হবে
এর আগে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্রাহ্মণাবড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, জেলা সদর হাসপাতাল, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গণ, কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নিহত ছাত্রের বিক্ষুব্ধ সতীর্থরা।
এছাড়া সতীর্থের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সদর মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় কওমি ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ। তবে সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ এবং ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করার পর রাতে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার সাইখুল হাদিস মাওলানা সাজিদুর রহমান।
আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/পিআর