বাগেরহাটে ৫টি বসত ঘর পুড়ে ছাই


প্রকাশিত: ০৪:২৫ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

বাগেরহাটে গ্রামীণফোনের প্রধান টাওয়ার লাগোয়া রেলস্টেশন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর ও একটি গোডাউন ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ৪টার দিকে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় ভিখারী শাহ বাবু (৬৫) বাসাবাড়িতে কর্মরত তাসলিমা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মহম শেখ, হাসিনা বেগম ও বাচ্চু পাহলানের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সকালে পোড়াগৃহ পরিষ্কারের সময়ে মৃত রুস্তম পাহলানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার বসত ঘরের পাশে মহম শেখের ঘরে আগুন দেখতে পায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পার্শ্ববর্তী মহমের বোন হাসিনা বেগমের ঘর থেকে আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, মহম শেখ ও হাসিনার ঘরে ওই রাতে কেউ ছিল না। শীতের রাতে আগুন লাগার খবর শুনে প্রতিবেশিরা জড়ো হয়ে আগুন নেভাতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্তলে পৌঁছে আগুন নেভাতে শুরু করে।

Begerhut

আগুনে সর্বস্ব হারানো বৃদ্ধা ভিখারি শাহবানু জানান, মোর বাবা কিছুই নাই, পরানের কাড়প চোপড় সব পুইড়া গেছে মুই এহন কই থাকমু।` ভিখারি বৃদ্ধা শাহবানু বলেন, তার পাশের ঘরে তাসলিমা থাকে ওই রাতে সে ঘরে ছিলনা। তিনি কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারেন না।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জয়লান আবেদীন তিতাস জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আগুনে ৫টি কাঠ ও টিনের তৈরি বসত ঘর ও একটি কোকোলা ফুড প্রোডাকশনের একটি গোডাউন পুড়ে গেছে। রেলরোড এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

এদিকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বুধবার সকালে রেডরোড এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান। তিনি আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

শওকত আলী বাবু/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।