পুলিশি হেফাজতে সাক্ষ্য দিলেন শিশু রবিউলের বাবা


প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে আলোচিত শিশু রবিউল হত্যার বিচার কাজ। এ মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে পুলিশি হেফাজতে এসে আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন মামলার বাদী ও রবিউলের বাবা মো. দুলার মৃধা। বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু তাহেরের এজলাসে বেলা ১২টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ও বরিউলের বাবা মো. দুলাল মৃধা এ মামলার একমাত্র আসামি মিরাজের (২৮) বিরুদ্ধে ছেলে হত্যার বিবরণ দেন। এসময় তিনি আদালতে বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট রাতে পেতে রাখা জালের মাছ চুরির অভিযোগে বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছোট আমখোলা গ্রামের ১০ বছরের শিশু রবিউলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পাশের খালে ফেলে রাখে মিরাজ।

পরের দিন সকালে আসামি মিরাজের নানা বাড়ি সোনাকাটা ইউনিয়নের আইনুদ্দীনের বাড়িতে ছেলের খোঁজে যান তিনি। এসময় মিরাজের নানীকে তিনি উঠোন লেপতে দেখেন এবং সেখানে রক্তের ছাপ দেখে চ্যালেঞ্জ করেন। এর পর মিরাজের নানী প্রকৃত ঘটনার বিবরণ দেন।

দুলাল মৃধা মিরাজের নানীর উদ্ধৃতি দিয়ে আদালতে বলেন, মিরাজ রবিউলকে ধরে প্রথমে স্থানীয় আমখোলা গ্রামের মসজিদের পাশ নিয়ে আসেন এবং মসজিদের দেয়ালে মিরাজ রবিউলকে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে রবিউল মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

পরে মিরাজ রবিউলে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার নানীর ঘরের সামনে এনে রবিউলকে বেদম মারধর করেন। পরে লাশ পার্শবর্তী লকরার খালে ফেলে দেয় মিরাজ। পরের দিন ৪ আগস্ট বিকেলে শিপু নামের এক কিশোর লকরার খালে রবিউলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার বাবা-মাকে জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে রবিউলের লাশ উদ্ধার করে।

দুলাল মৃধা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে তালতলী থানা পুলিশ তাকে অযথাই গ্রেফতার করে সারারাত থাকায় আটকে রাখে। তাকে আটকে রাখায় এ মামলার বিচার কাজে পুলিশ অসহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি। আলোচিত এ মামলার বিচারের শুরুতেই তাকে আটক করায় ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন বলেও জানান দুলাল মৃধা।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাবুল আকতার জানান, আদালত দুলাল মৃধার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় তাকে আটক করা হয়।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও বরগুনার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান বাহাদুর জানান, বুধবার এ মামলায় রবিউলের মা মোর্সেদা বেগম এবং বৃহস্পতিবার রবিউলের বোন খাজি আক্তার এবং লাশ খুঁজে পাওয়া কিশোর শিপুর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।