হকার্স মার্কেটের আগুনে পুড়লো উপমন্ত্রীর পরিবারের ২৫ দোকান
অডিও শুনুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পরিবারের মালিকানাধীন ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান।
এদিকে রাত সোয়া ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার সঙ্গে ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো সাবেক মেয়র প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের।
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে তিনি বলেন, জহুর হকার্স মার্কেটটি অনেক পুরোনো। শুক্রবার এমনিতে মার্কেট বন্ধ থাকে। তাই লোকজন ছিল না। আগুন ভেতরে লেগে বাইরে ধোঁয়া বের হওয়ার পর বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। মার্কেটটিতে কয়েকশো দোকান রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আগুন ছড়াতে পারেনি।
মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, মার্কেটের উপরের দিকে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের দোকানগুলোতে আগুন লাগে।
সেখানকার এক দোকান কর্মচারী আলাউদ্দিন বলেন, শুক্রবার মার্কেট বন্ধ ছিল। মার্কেট খোলা থাকলে আগুন লাগার বিষয়টি সাথে সাথে জানা যেতো। এতে ক্ষয়ক্ষতি কম হতো। মার্কেট বন্ধ থাকায় আগুন লাগার বিষয়টি দেরিতে নজরে আসে। এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
কায়ছার নামের অপর এক দোকান কর্মচারী বলেন, মার্কেটে আগুন লাগার খবরে বাসা থেকে এসেছি। আজ মার্কেট বন্ধ। খোলা থাকলে মানুষের জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি হতো। কারণ মার্কেটে সবসময় ক্রেতাদের ভিড় থাকে। আগুন লাগার খবরে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তো। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হতো। আল্লাহ, আমাদের রক্ষা করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ৪টি স্টেশনের ১২ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর