দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা: অবশেষে মামলা নিলো পুলিশ
বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহেদুল ইসলাম (শাহেদ শফিক) ও জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. মুসা মিয়ার (মুসা আহমেদ) ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে বংশাল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় মামলার তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের।
তিনি জানান, গতকাল বুধবার রাতে (৯ মার্চ) মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন শাহেদুল ইসলাম। মামলার প্রধান আসামি রাসেলসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বংশাল থানায় দায়ের করা ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বংশাল পুরাতন চৌরাস্তা মোড়ে রুকন উদ্দিন জামে মসজিদের সামনে যানজটের মধ্যে রাস্তা পার হচ্ছিলেন সাংবাদিক শাহেদুল ইসলাম ও মো. মুসা মিয়া। এ সময় মামলার এক নম্বর আসামি মো. রাসেল তার মোটরসাইকেল দিয়ে বাদীকে ধাক্কা দেন। কারণ জানতে চাইলে রাসেল মোটরসাইকেল থেকে নেমে শাহেদুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি লাথি মারতে থাকেন। আসামি বাদীর পেটে এবং বাম হাতে আঘাত করেন। রাসেলের সঙ্গে থাকা অন্য অজ্ঞাতনামা আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা এবং বুকে সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে বাদী রাস্তায় পড়ে যান।
তখন অন্য আসামিরা লাথি-কিল-ঘুষি মেরে বাদীকে জখম করেন। এ সময় বাদীর সহকর্মী সাংবাদিক মুসা মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও তারা আঘাত করেন। তখন স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
পরে অপর সহকর্মী বাংলাভিশন ডিজিটালের সংবাদকর্মী সাদ্দাম হোসাইন আহত দুজনকে রিকশায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহেদ শফিক বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা মামলার জন্য বংশাল থানায় যাই। কিন্তু মামলা নিতে পুলিশ গড়িমসি করে। পরে ঘটনার ১৩ দিন পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী বিচারের দাবি জানাই।
টিটি/বিএ/জিকেএস