সাংবাদিক হয়রানি: কুড়িগ্রামের সেই আরডিসির শাস্তি মওকুফ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ১০ মার্চ ২০২২
নাজিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে হয়রানিমূলকভাবে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় তৎকালীন রেভিনিউ ডেপুটি কালেকটর (আরডিসি) নাজিম উদ্দিনের শাস্তিও মাফ করা হয়েছে।

নাজিম উদ্দিনকে এক ধাপ পদাবনতির শাস্তি থেকে অব্যাহতি গত ৭ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে নাজিম উদ্দিনকে এক ধাপ পদাবনতি করেছিলো সরকার। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে দণ্ড মওকুফের আবেদন করলে, তা মঞ্জুর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাজিম উদ্দিনের দণ্ড বাতিল করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

একই ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছিল। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফ করা হয়।

২০১৯ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ধরে নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসন। ঘরে কোনো তল্লাশি চালানো না হলেও পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

আরিফুলের পরিবারের দাবি, কুড়িগ্রামের ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি এসব করিয়েছেন।

ওই অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন রিন্টু বিকাশ চাকমা। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার এস এম রাহাতুল ইসলাম।

আরএমএম/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।