জনতা ব্যাংকের ৫২১ কোটি লোপাট: ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ কাদের ও তার স্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রপ্তানি না করেও ভুয়া বিলের বিপরীতে ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি করে জনতা ব্যাংকের ৫২১ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৬৩৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
রোববার (৬ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে সুপারিশ করলে কমিশন তা অনুমোদন করে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
চার্জশিটে অর্থ লোপাটকারী হিসেবে রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ কাদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম বর্তমানে কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি ফখরুল আলম, জনতা ব্যাংকের জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম মো. ইকবালসহ ১৬ জনের নাম রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের ২নং দুদক প্রতিরোধ আইন ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংক থেকে এই টাকা উত্তোলন করা হয়। এই ঘটনায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শর্তাদি লঙ্ঘন ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে রপ্তানি না করেও ভুয়া ডকুমেন্ট দেখান। এভাবে তারা জনতা ব্যাংক থেকে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা ঋণ হিসেবে উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। সুদসহ সেটি এখন ৫২১ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৬৩৪ টাকা হয়েছে।
এসএম/কেএসআর/জেআইএম