ফিফা বর্ষসেরা একাদশে বার্সা-রিয়ালের আধিপত্য
দানি আলভেজ থেকে সার্জিও রামোস, এরপর থিয়াগো সিলভা, তার কাছ থেকে লুকা মডরিচ, মার্সেলো, ইনিয়েস্তা, পল পগবা হয়ে বল চলে গেলো নেইমারের পায়ে। এরপর বল আবার ইনিয়েস্তার কাছে। বল ঠেলে দিলেন নেইমারের কাছে। এরপর লিওনেল মেসি পেলেন বলটি। কয়েকজনকে কাটিয়ে মেসি বলটি পাস দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে। রোনালদো সেই বলটি আলতো টোকায় জড়িয়ে দিলেন প্রতিপক্ষের জালে।
পাঠক, ভাবছেন দিবাস্বপ্ন দেখছি নাকি! আসলে দিবা স্বপ্ন তো নয়, এমনই একটি একাদশ সাজিয়েছে ফিফা। ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঘোষণা করা হলো বর্ষসেরা একাদশ, ফিফা ফিফপ্রো ইলেভেন। শুধু একাদশ ঘোষণাই নয়, বিভিন্ন খেলা থেকে একটু একটু করে নিয়ে ফিফা তৈরী করেছে অসাধারণ সেই ভিডিওটি। যেখানে একসঙ্গে একই একাদশে খেলেছে বছরের সেরা এগারজন।
গোলরক্ষকের আসনটি নিঃসন্দেহে গেলো জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য, বায়ার্ন ফুটবলার ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের হাতে। যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। ডিফেন্ডার হিসেবে বিশ্বসেরা একাদশে ঠাঁই করে নিলেন ফরাসি ক্লাব পিএসজির ব্রাজিলিয়ান থিয়াগো সিলভা, বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান দানি আলভেজ এবং রিয়াল মাদ্রিদের সার্জিও রামোস।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদের মার্সেলো। মিডফিল্ডার রিয়ালের লুকা মডরিচ, বার্সেলোনার আন্দ্রে ইনিয়েস্তা। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে জুভেন্তাসের পল পগবা। উইংয়ে লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জেনুইন স্ট্রাইকার নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র। অথ্যাৎ বর্ষসেরা একাদশের ৮জনই হচ্ছেন রিয়াল বার্সার। এর মধ্যে দু’দলেরই রয়েছেন ৪জন করে ফুটবলার। বাকি তিনজনের মধ্যে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের একজন, ইতালিয়ান সিরি-এ জুভেন্তাসের একজন এবং ফরাসি লিগের জুভেন্তাসের একজন।
ফিফা ফিফপ্রো একাদশ: ম্যানুয়েল ন্যুয়ার (বায়ার্ন মিউনিখ), থিয়াগো সিলভা (পিএসজি), সার্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ), মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ), লুকা মডরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ), আন্দ্রে ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা), পল পগবা (জুভেন্তাস), ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা) এবং নেইমার (বার্সেলোনা)।
আইএইচএস/বিএ