বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন ছাড়া স্বাধীনতা প্রাপ্তি অসম্পূর্ণ ছিল


প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলী মোল্লা লিঙ্কন ও সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুত বড়ুয়া এক বিবৃতিতে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, বাঙালি জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। জাতির পিতা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এ নিভৃত কারাগারে তিনি অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হন।

প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে।

জাতির পিতা ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে প্রত্যাবর্তন করে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বাঙালি জাতি ফিরে পায় জাতির পিতাকে। বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান তৈরি হয়।

আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করি। যেখানে ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদ থাকবে না। সকলের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার থাকবে অবারিত।

বিবৃতিতে সম্মতি জানান সহসভাপতি আ ন ম আরিফ খালেক, জনাব ইকবাল মিঠু, জামাল আহমেদ, সুমি দাশ, যুগ্ম-সম্পাদক জনাব সাব্বির আহমেদ মুন্সী, সামি দাশ, জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মানজুর আহমেদ লিমন, জনাব মোতালেব ভুইয়া, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউসুফ হিল্লোল বড়ুয়া, আমির হোসেন, আবু সাইদ রবিন, রেজাউল হক, কাউসার আহমেদ সুমন, রেজাউল করিম, বেলাল হোসেন রুমি, তায়মুল শোয়েব, হুমায়ুন কবির রানা, শাহ আলম, সেতু আহমেদ, কবির আহমেদ, শাহজালাল পিন্টু, খাদিজা খাতুন মিনি, কোহিনুর আখতার মুকুল, ডা. অমিত কুমার রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, সাফিউল সাফী, আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, আবু আশরাফ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, নিহারুল ইসলাম রুম্মান, মোহাম্মদ রাব্বী, কচি মিয়া, রাশেদুল হাসান রুবেল, সুমন দাশ, বদিউজাম্মান শান্ত, মাহফুজুর রহমান নয়ন এ কিউ এম হ্যাপী, সবুজ মল্লিক, অধ্যাপক টুটুল, জামাল আহমেদ সোহাগ, শাহীন মিয়া, মোকলেসুর রহমান, পরাগ পারিয়াল, দীপঙ্কর পাল, সুজন সাহা, দেবাশিস বড়ুয়া, মোহাম্মদ নাজমুল, মোহাম্মদ আরাফাত, শামসুদ্দিন ইয়াকিন, সৈয়দ পাভেল, নাসির রানা, প্রত্যয় সাহা, কাজী হামিদ, রাইসুল রাহান, মোহাম্মদ শহীদ, মিজানুর রহমান, সুমন বিশ্বাস, কানাই পোদ্দার, মাইনুল হাসান, হুমায়রা আখতার জাসিয়া, লিন্ডা হাসান, জাহেদুর রহমান, অমিত বড়ুয়া, মাকসুদুল হাসানসহ আরো অনেকে।

এছাড়া ডেনমার্ক যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল আখতার কামরুল ও সাধারণ সম্পাদক আমির জীবন এবং ডেনমার্ক ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখার সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নিরু প্রমুখ বিবৃতিতে সম্মতি জানান।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]