৬০ শিক্ষকের কাছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা পাওনা ঢাবির


প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৬০ শিক্ষকের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাওনা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বারবার চিঠি দেয়া হলেও টাকা পরিষদ করেননি তারা।

ওই শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশ গমন করেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করায় তাদের চাকরির পরিসমাপ্তি হয়। এছাড়া, অনেক শিক্ষক পদত্যাগও করেছেন। কিন্তু তাদের চিঠি দিয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৭ টাকা পরিশোধ করেননি শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা সুদসহ অনতিবিলম্বে পরিশোধ করার জন্য তাদের পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং উক্ত টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকার পরিমাণ :
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শায়লা হামিদের কাছে পাওনা ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২১ দশমিক ৬০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ফায়েজা সুলতানার কাছে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫২৮ দশমিক ৩৭ টাকা, প্রভাষক সুধীর শ্যমূয়েল চৌধুরীর কাছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৮ দশমিক ৪৯ টাকা, মন্ময় জাফরের কাছে ৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৬৮ টাকা, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইনুল হোসেন ভূইয়ার কাছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৮৭ দশমিক ২৫ টাকা, মো. কামরুজ্জামানের কাছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০ দশমিক ২৯ টাকা, লুনা নাসরীন রহমানের কাছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ টাকা, প্রভাষক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৯২ টাকা। প্রাণ রসায়ন বিভাগের ড. মো. নাজমুল হুদার কাছে ২ লাখ ২০ হাজার ১০৬ দশমিক ২০ টাকা, ড. মরিয়ম নাসরীনের কাছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৭১ দশমিক ২৬ টাকা, ড. মোহাম্মদ আরিফের ৬ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা। বাংলা বিভাগের ড. আমিনুর রহমানের কাছে ৩৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ টাকা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমানের কাছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৩ টাকা, জাহিদ হাসান চৌধুরীর কাছে ২ লাখ ১ হাজার ৯৬৩ টাকা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের এটিএম আব্দুলাহেল শাফীর কাছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮১৯ টাকা পাওনা রয়েছে।

এছাড়া ফিন্যান্স বিভাগের সাবেক প্রভাষক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের কাছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭ টাকা, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. সাইফুল ইসলামের কাছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ টাকা, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মো. আশরাফুজ্জামানের কাছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০৪ দশমিক ৯৬ টাকা, ড. একেএম জিয়াউর রহমানের কাছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩০৩ টাকা, ড. নাসিমুল নোমানের কাছে ৮ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৭ টাকা, মো. এনামুল করিমের কাছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ টাকা পাওনা রয়েছে।

ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মাহমুদ হোসেনের কাছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৬০ দশমিক ৫ টাকা, ড. জামিল ইউসুফ খানের কাছে ৪১ হাজার ৭৯৩ টাকা, সেকেন্দার চৌধুরীর কাছে ১৯ হাজার ১১০ টাকা, আদনান সিরাজ লস্করের কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজর ৩২০ দশমিক ৭৭ টাকা, শেখ মোহাম্মদ আলীর কাছে ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ১৮২ দশমিক ৯০ টাকা, আনিকা আজিজের কাছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ টাকা, মো. বজলুর রশীদের কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৯২২ দশমিক ৪১ টাকা, মো. জহিরুল হকের কাছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৩ দশমিক ৭৮ টাকা, ড. সাজ্জাদ হায়দারের কাছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৮ দশমিক ৮০ টাকা।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের জাহিদুল কাইয়ুমের কাছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৭০ দশমিক ২০ টাকা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ড. নাসরিন ইসলাম খানের কাছে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯১ টাকা, আরবী বিভাগের মো. মাহমুদ বিন সাঈদের ১০ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ টাকা, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মো. হানিফ উদ্দিনের ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৮২ টাকা।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আরিফুর রহমান ১৪ লাখ ২১ হাজার ১০৩ টাকা, অনুপ চৌধুরী ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬ টাকা, ড. মোহাম্মদ নুরুল হক ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭০ টাকা। ফিন্যান্স বিভাগের মোহাম্মদ মুসফিক উদ্দীন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৪ টাকা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সামিনা এম সাইফুদ্দীন ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ টাকা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ড. ফারহানা আজিম ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৬ টাকা, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের ড. মনিরুজ্জমান ভূঞা ৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৬০ দশমিক ২০ টাকা, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের মো. আলমগীর রহমানের কাছে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২ টাকা, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোহাম্মদ এহসানের কাছে ৯ লাখ ৪ হাজার ৬৮৯ টাকা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের তানিয়া শারমিনের কাছে ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৪১ টাকা, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শাহেদ আনোয়ারের কাছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ২১২ টাকা, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. শেখ মো. রিয়াজুল ইসলামের কাছে ৭৮ লাখ ৪৫১ হাজার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোস্তাইম বিল্লাহের কাছে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩ টাকা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মো. আবুজার কবিরের কাছে  ৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৯৩ দশমিক ৯৪ টাকা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক  আমিনুল ইসলাম মল্লিকের কাছে ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৭ টাকা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক লেকচারার নজরুল ইসলামের কাছে ৪ লাখ ২২ হাজার ১৫১ দশমিক ৯০ টাকা, গণিত বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক কাজী আমিনুর রহমানের কাছে ১০ লাখ ১৭২ টাকা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সাবেক লেকচারার জিয়া সাদিকের কাছে ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ দশমিক ২১ টাকা, ইনস্টিটিউটের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগমের কাছে ১৫ লাখ ২০ হাজার ৩১০ টাকা, ইনস্টিটিউটের সাবেক লেকচারার শেখ মোহাম্মদ শহিদ উদ্দীন ইস্কান্দারের কাছে ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৭ টাকা, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক খন্দকার মো. ইসতিয়াকের কাছে ১৩ লাখ ২ হাজার ৯৮৫ টাকা, আইন বিভাগের সাবেক লেকচারার তানজিম আফরোজের কাছে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৩৫২ টাকা, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সাবেক সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোর্শেদের কাছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ২৩০ টাকা, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরীর কাছে ৪৬ হাজার ১৫ টাকা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদা শায়লা বানুর কাছে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ টাকা এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫২২ টাকা পাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এমএইচ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।