বৈঠকে সার্চ কমিটি, চূড়ান্ত হতে পারে ১০ জনের নাম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতি গঠিত অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির সপ্তম বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন সার্চ কমিটির প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এতে কমিটির অন্য সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির ষষ্ঠ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল নামের তালিকা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ১২ থেকে ১৩ জনের নাম বাছাই করা হয়েছে।
আজকে বৈঠক সার্চ কমিটির নিজেদের মধ্যে সপ্তম বৈঠক। যদিও এর আগে সার্চ কমিটি বিশিষ্টজনদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেছে। সব মিলিয়ে মোট ১০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সার্চ কমিটির। আজ আরেকটি বৈঠক চলছে। এর মধ্যে নিজেদের মধ্যে ৬টি এবং বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ৪টি বৈঠক করে কমিটি। আজ সপ্তম বৈঠক হতে যাচ্ছে।
এখন ১২ -১৩ জনের তালিকা থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে সার্চ কমিটি। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ জনের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া হবে বলে সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত রোববার কমিটির ষষ্ঠ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছিলেন কমিটির প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সভায় বিভিন্নভাবে আসা তিন শতাধিক নামের মধ্যে থেকে ২০ জনের নাম বাছাই করা হয়। এরপর রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠেয় কমিটির সভায় এ ২০ জন থেকে ১২- ১৩ জনে নিয়ে আসা হয়।
সার্চ কমিটির প্রধান ওইদিন বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত নতুন আইনের আওতায় সার্চ কমিটি হওয়ার পর আমরা ছয়টি মিটিং করেছি। আরেকটি মিটিং (বৈঠক) আমাদের বাকি আছে। ওইদিন মিটিং করার মধ্য দিয়ে আপাতত আমাদের কাজ শেষ করতে পারবো।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ছয়টি মিটিং করেছি আমরা নিজেদের মধ্যে। আর চারটি মিটিং করেছি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। আপনারা জানেন প্রথমে ৩২২ জনের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এ ৩২২ জনের তালিকা শেষে আরও চারজন বিশিষ্ট সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করায়, তাদেরকেও আমরা ডেকেছি। তারাও কিছু নাম দিয়ে গেছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, নাম দেওয়ার জন্য আমরা একদিন সময় বাড়িয়েছিলাম। এরপরও বলেছিলাম যদি কোনো রাজনৈতিক দল নাম পাঠায় তাহলে সেটিও আমরা বিবেচনায় নিবো। সময় বাড়ানোর পর কিছু রাজনৈতিক সংগঠন আরও কিছু নাম পাঠিয়েছে। সব নাম বিবেচনায় নিয়ে আমরা গত পঞ্চম সভায় ২০ জনের নাম চুড়ান্ত করি। আজকের সভায় আমরা ১০টি নাম চুড়ান্ত করতে পারিনি। তবে কাছাকাছি এসেছি। আমরা ১২/১৩ জনের মধ্যে ১০ জনের নাম খুঁজে বেড়াচ্ছি। এর মধ্যে আশা করি ১০টি নাম পেয়ে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০ জনের নাম আমরা প্রকাশ করবো না। এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে পরে তিনি যদি বলেন আপনারা প্রকাশ করেন, তাহলে আমরা প্রকাশ করবো। এটা তার সম্পত্তি, তার কাছেই দিতে হবে। আমাদের প্রকাশ করার কোনো আইন নাই।
ওইদিন সার্চ কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সার্চ কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তায় ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এফএইচ/কেএসআর/এএসএম