বিয়াল্লিশে পা দিলেন হৃতিক
বলিউডের গ্রিক গড বলে খ্যাত হৃতিক রোশনের শুভ জন্মদিন আজ রোববার। এবারে তিনি বয়সের ৪২ বছরে পা রাখলেন। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা বলিউডের সফল নির্মাতা রাকেশ রোশন আর মা পিংকি রোশন।
বাবা রাকেশ রোশনের সুবাদে হৃতিকের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বলিউডের চৌকাঠেই। তবে অভিনেতা হবেন বড় হয়ে এমন স্বপ্ন তিনি দেখতেন না। তার ইচ্ছে ছিলো বাবার মতোই ক্যামেরার পিছনে থেকে যাওয়ার। কিন্তু ভাগ্যদেবী যার কপালে এত তারকা খ্যাতি আর সম্মান বরাদ্দ রেখেছেন অভিনয়ের জন্য তার কি পিছনে থাকা সাজে!
তাই অনেকটা হুট করেই বাবার পরিচালনাতে ২০০০ সালে বলিউডের রুপালি পর্দায় আগম ঘটে হৃতিকের। একেবারে রাজকীয় আগমন। আমিশা প্যাটেলের বিপরীতে তার প্রথম ছবি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ তুমুল জনিপ্রিয়তা পেয়েছিলো ভারত-বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। আর বলিউড পায় এক নতুন ‘হিরো’কে।
একটি ছবিতেই ‘খান’-দানকে চুরমার করে বক্স-অফিসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে রাকেশ পুত্র হৃতিক।
হিরো হাবার চাইতে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয়ের দিকে বেশি নজর দেন হৃতিক। ফল, ‘ফিজা’ বা ‘মিশন কাশ্মীর’-এর মতো ছবিতে তাকে দেখা গেছে নেগেটিভ চরিত্রে। যদিও বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে দু’টি ছবি। পরে বাবা ও বন্ধুদের পরামর্শে নিজের ‘হিরো ইমেজ’ রি-কভার করতে আবারো মাঠে নামেন তিনি। এবার ‘ইঁয়াদে’, ‘মুঝসে দোস্তি করোগি’ বা ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ’ ছবি দিয়ে রোমান্টিক নায়কের তকমা পেয়ে যান হৃতিক।
তবে আজকের শক্তিশালী অভিনেতা হৃতিকের উত্থান সেই বাবার হাত ধরেই ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কোই মিল গ্যায়া’ ছবিতে। ছবিতে হৃতিক নিজের অভিনয় দক্ষতা এবং হিরোইজম, দুই’ই দেখানোর সুযোগ পান। সুপার হিট এই ছবি। তারই সিক্যুয়েল হিসেবে ‘ক্রিশ’-এর সৌজন্যে এক ‘সুপারহিরো’ পেল ভারতীয় সিনেমা। এই সিরিজের পরবর্তী দুটি ছবিও বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছে।
তবে তারও আগে ফারহান আখতারের ‘লক্ষ্য’ করার পরেই চরিত্র এবং ছবি, দুয়ের ক্ষেত্রে বড় বেশি সিলেক্টিভ হয়ে পড়েন হৃতিক। বছরে একটা বা কখনো দু’বছরেও একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার।
কিন্তু, ‘কাইটস’, ‘যোধা-আকবর’, ‘ধুম-২’ তাকে নিয়ে গিয়েছে অন্য উচ্চতায়। ঝুলি ভরে যায়, একাধিক সেরা অভিনেতার তকমায়। যদিও সমালোচকরা বলেন জীবনের সেরা অভিনয় ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন হৃতিক। ছবির নাম ‘গুজারিশ’। কিন্তু নায়ক সেটি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, অভিনয়ের পথ অনেক লম্বা। এখানে আরো অনেক কিছুই করার বাকি তার। সে অপেক্ষাতেই হাঁটছেন তিনি।
বর্তমানে সংসারে সময় দিচ্ছেন। দীর্ঘ দিনের সঙ্গীনী সুজানের সাথে ছাড়াছাড়ির পর এখন তিনি দুই ছেলে রেহান ও হৃদানের সাথে হেসে খেলে দিন পার করছেন। প্রস্তাব পেয়েছেন বেশ কিছু হিন্দী ও ইংলিশ ছবিতে। মন শান্ত না করে কাজ করবেন না বলে সব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে নিজের ভক্তদের জন্য আশা জাগিয়ে বলেছেন, শিগগিরেই ক্যামেরায় ফিরবেন বলিউডের এই সুপারহিরো।
এলএ/আরআইপি