বাহরাইনকে ঠেকিয়ে দিল বাংলাদেশ অলিম্পিক দল


প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে এগিয়ে গিয়েও পরে শক্তিশালী বাহরাইনের সাথে ড্র করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। বাহরাইনকে শুধু জয়বঞ্চিতই নয়; বরং আধিপত্য বিস্তার করেই মাঠে সফল বাংলাদেশ। যদিও বাহরাইন নামের আড়ালে তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল মাঠে নামিয়েছিল। তবুও শক্তির বিচারে তারা বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়েও এগিয়ে। তাই ১-১ গোলে ড্রতেও সন্তুষ্ট বাংলাদেশ দলের হেড কোচ গঞ্জালো সানচেজ মোরিনো। আর যশোরে এসে প্রথম ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাহরাইনের হেড কোচ মারজান ঈদ।

রোববার বিকেল পৌনে তিনটায় যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে গড়ায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ অলিম্পিক দল ও বাহরাইনের গ্রæপ পর্বের ম্যাচ। শুরু থেকেই আক্রমন-পাল্টা আক্রমনে ম্যাচ জমে উঠে। ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। বাহরাইনের ডি-বক্সের মধ্যে সজীবের হেড প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক মাহবুব আলদশরী গ্রিপ করতে ব্যর্থ হলে বল চলে যায় রুবেল মিয়ার কাছে। বলে হেড বা টোকা দিতে ব্যর্থ হয়ে তা হাতে লাগান রুবেল। গোলের পরিবর্তে হ্যান্ডবলের জন্য হলুদ কার্ড জোটে তার কপালে।

তবে কাক্সিক্ষত গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ১৭ মিনিটই বাহরাইনের ডি-বক্সের মধ্যে রুবেল মিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে ইউসুফ সিফাত পরাভূত করেন বাহরাইন গোলরক্ষক মাহবুব আলদশরীকে। ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

তবে লিড নেয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। মাত্র ৫ মিনিট পরেই খেলায় সমতায় আনে বাহরাইন। ২২তম মিনিটে সফরকারী দলের মোহাম্মদ আল-নাহার বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের ডি-বক্সের মধ্যে। তার ঠেলে দেয়া বলে পা লাগিয়েও ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রেজাউল করিম। এ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি বাহরাইনের জশিম আল শেখ। সহজেই গোলরক্ষক জিয়াউরকে পরাভূত করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। এরপর প্রথমার্ধে দু’দলই আক্রমন সানালেও চূড়ান্ত লক্ষ্যভেদ কেউই করতে পারেনি।

১-১ সমতায় দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে দু’দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ দল বেশ চেপে ধরলেও কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি। পাল্টা আক্রমণ থেকে দু’একটি সুযোগ তৈরি করলেও বাহরাইনও সাফল্য পায়নি। একপর্যায়ে দু’দল শক্তি প্রদর্শণ করেও তারা খেলতে থাকে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ইচ্ছাকৃত হাতে বল লাগিয়ে দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড দেখেন বাহরাইনের বদলি খেলোয়াড় আনোয়ার আলি। ফলে লাল কার্ড নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। শেষ এক মিনিট ও ইনজুরি টাইমে দশজনের দলে পরিণত হয় বাহরাইন। কিন্তু তাতেও কোনো ফায়দা তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এ আর্ধ জুড়ে তাদের মুহুর্মুহু আক্রমণগুলো সব থমকে গিয়েছিল বাহরাইনের রক্ষণভাগে। তাই সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলকে।

ম্যাচ শেষে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ গঞ্জালো সানচেজ মোরিনো দলের খেলায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করে খেলেছে। দল হিসেবে এটি তাদের প্রথম একসাথে খেলা। এ কারণে এ ফলাফলে তিনি খুশি। বাহরাইন শক্তিশালী দল, আর মাঠও স্বাভাবিক আচরণ করেনি। তবে যে সুযোগগুলো এসেছিল তা কাজে লাগাতে পারলে জয় পাওয়া যেত।

অপরদিকে, বাহরাইনের হেড কোচ মারজান ঈদও ম্যাচের সমতায় খুশি। তিনি জানান, প্রথম ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে তারা পরবর্তী ম্যাচ জয়ের জন্য মাঠে নামবেন। এ ম্যাচে দু’দলেরই ফিফটি ফিফটি চান্স ছিল। তবে ছেলেদের ওপর তার আস্থা রয়েছে। তারা পরবর্তী ম্যাচে সাফল্য নিয়েই পরবর্তী রাউন্ডে উঠে যাবে।

আএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।