ইসি গঠনে সার্চ কমিটিতে তিন শতাধিক নাম প্রস্তাব
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটিতে মোট ৩০৯ জনের নামের তালিকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ১৩৬ জনের নামের প্রস্তাব এসেছে। বাকি নাম এসেছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবে করা প্রস্তাব থেকে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সার্চ কমিটিতে পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪০ জন, ৩৪ জন ব্যক্তিগতভাবে এবং ৯৯ জন ই-মেইলে নাম পাঠিয়েছেন। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নামগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাইয়ের পর নামগুলো প্রকাশ করা হবে কি না সে বিষয়ে পরে জানানো হবে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি পর্যায়ে নাম দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি। তবে এরপর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়ে নাম দেওয়ার অনুরোধ করেছিল কমিটি। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই নাম নেওয়া হয়।
এরপর আজ (শনিবার) বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। দুটি বৈঠকে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকে ছিলেন ১৪ বিশিষ্ট নাগরিক, পরের বৈঠকে ছিলেন ১১ জন গণমাধ্যম ব্যক্তি। তারা বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সবারই মূল বক্তব্য হলো এমন একটি নির্বাচন কমিশন করা যাতে সবার আস্থাভাজন হয় এবং ভালো একটা নির্বাচনের জন্য তারা পদক্ষেপ নিতে পারেন। তাদের প্রস্তাবনা নোট করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার পর বৈঠকে বসে বিশিষ্টজনদের প্রস্তাবনা নিয়ে সার্চ কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যক্তিগতভাবে নাম প্রস্তাব এবং বিভিন্ন ই-মেইলের মাধ্যমে ৯৯ জনের নাম পেয়েছে সার্চ কমিটি। সব মিলিয়ে ৩২৯ জনের নাম পাওয়া গেছে (যদিও তার মুখে বলা সংখ্যাগুলো যোগ করলে ৩০৯ জন হয়)। সার্চ কমিটি আবার যখন বসবে তখন এই নামগুলো দেখবে। এক নাম হয়তো চার-পাঁচবার আসতে পারে। সেগুলো বিশ্লেষণ করলে প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে।
হাতে পাওয়া নামগুলো প্রকাশ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমিটি যখন বৈঠকে বসবে তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিএনপিকে ডাকা হবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা ওনার একটা সাজেশন। আরও একাধিক ব্যক্তি এ প্রস্তাব দিয়েছেন। কালকের মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কালকের মিটিংয়ের পর অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
এফএইচ/কেএসআর/এএসএম