চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে শাহবাগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন দেশের তথ্য উপাত্ত তুলে আমাদের দেশেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবি জানায়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাস তার বক্তৃতায় বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে যথেষ্ট পরিমান যুক্তি থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়িত না হওয়া দুখঃজনক; হতাশাব্যঞ্জক। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডের মত উন্নত দেশে যেখানে চাকরিতে প্রবেশের কোন বয়সসীমা নেই সেখানে আমাদের দেশে কেন সীমা রেখা থাকবে? বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে আমরা উন্নত দেশগুলোকে উদহারণ হিসেবে তুলে ধরতে পারলে এ ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায় তা বোধগম্য নয়। উন্নত দেশের দৃষ্টান্ত অনুসরণপূর্বক চাকরিতে প্রবেশের বয়স অতিসত্ত্বর বাড়ানোর বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে কাজও শুরু করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ২০১২ সালে চাকরি থেকে অবসরের বয়স বাড়ানো হলেও প্রবেশের বয়স না বাড়ানোয় লক্ষ লক্ষ ছাত্ররা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বর্তমানে আবারও অবসরের বয়স বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স না বাড়িয়ে যদি শুধুমাত্র অবসরের বয়স বাড়ানো হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই অবসরের সাথে সাথে প্রবেশের বয়সও যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে তা ৩৫ বছর করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতায় জুলফিকার আলী খান বলেন- যারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ালেখা করছে তাদের পক্ষে ২৭ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে শিক্ষা জীবন শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কোন ছাত্রের ১/২ বছর গ্যাপ হযে গেলে তার নিজের এমনকি পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে না।
এআরএস/এমএস