বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক অর্জন করলো ব্রি
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক (স্বর্ণ) অর্জন করলো বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৪২০ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক, স্বর্ণপদ ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
১৯৭০ সালে ১ অক্টোবর ঢাকা থেকে ২২ মাইল উত্তরে জয়দেবপুর নামক স্থানে শালবন ঘেঁষে জন্ম নেয় ইস্ট পাকিস্তান রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউট। স্বাধীনতার পর ধান গবেষণার সূতিকাগার প্রতিষ্ঠানটি নাম বদলে আজকের বাংলাদেশ রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
বিগত চার দশকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চারটি হাইব্রিডসহ ৭৭টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এদের ফলন সনাতন জাতের চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। ব্রির এসব উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা সহনশীল ৯টি, আকস্মিক বন্যা মোকাবিলার ২টি, খরা সহনশীল ৩টি, মঙ্গা মোকাবিলার ২টি, সর্বাধিক ফলনের ৪টি এবং সুগন্ধি ও রফতানি উপযোগী ৩টি জাত।
আধুনিক ধান চাষের জন্য মাটি, পানি ও সার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০টির বেশি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ৩৯টি লাভজনক ধানভিত্তিক শস্যক্রম উদ্ভাবন। ২২টি কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন। ধানের ৩১টি রোগ ও ২৬৬টি ক্ষতিকর পোকা শনাক্তকরণ এবং বালাই ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন।
প্রায় আটষট্টি হাজার কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষককে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ২৪৬টি বই-পত্র প্রকাশ। দেশে আবাদকৃত উফশী ধানের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাত চাষ করা হয় এবং এ থেকে পাওয়া যায় দেশের মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৯০ ভাগ।
১৯৭০-৭১ সালে এদেশে চালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন। ২০০১১-১২ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ টনে। দেশীয় আট হাজার ধানের জার্মপ্লাজম বর্তমানে ব্রি জিন ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বর্তমানে বৈরি জলবায়ু প্রতিরোধী অধিক উৎপাদনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে।
বিএ