ফিফার ভুলে ফল ফাঁস, ব্যালন ডি’অর মেসির!
২০১৫ বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার কে জিততে যাচ্ছেন! তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নাকি নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র? প্রশ্নটা করা হলে নিশ্চিত অধিকাংশই ভোট দেবেন এবার মেসির পক্ষে। গত বছরের পারফরম্যান্স অনুযায়ী শিরোপা মেসির হাতে পঞ্চমবারের মত উঠছে এতে সন্দেহের অবকাশ খুবই কম। তবুও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্তরা আশাবাদী শেষ পর্যন্ত। বছরে সর্বোচ্চ গোল দেয়ার কারণে হয়তো সিআর সেভেনই উঠে আসতে পারেন শীর্ষে।
১১ জানুয়ারি জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে গালা নাইটের মাধ্যমে ঘোষিত হবে ফুটবলারদের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত পুরস্কারটির; কিন্তু সমস্যা হলো ফিফার আইটি বিভাগের মারাত্মক এক ভুলে রোনালদো ভক্তদের সব আশা শেষ হয়ে গেলো। সেই ভুলের কারণে ৫দিন আগেই ফাঁস হয়ে গেলো কে পাচ্ছেন ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি। এক টুইট বার্তার মাধ্যমে ফাঁস হলো সেই তালিকা এবং তাতে জানা যাচ্ছে সেই পুরস্কারটির বিজয়ী মেসিই। তার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে নারী বর্ষসেরা ফুটবলারের নামও। গত নারী বিশ্বকাপে জার্মানিকে চতুর্থ স্থান এনে দেয়া সেলিয়া সাসিক হচ্ছে নারী ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার।
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জজর্রিত ফিফার এটা আরও একটি বড় কেলেঙ্কারি, তাতে কোন সন্দেহ নেই। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে গেছে। একটি বিখ্যাত ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের খবর অনুযায়ী, বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার ওয়েবসাইটে যে কোনও কারণেই হোক, ২০০৮ থেকে ব্যালন ডি’অর প্রাপকদের (পুরুষ ও মেয়ে) তালিকা দেওয়া হয়েছে। আর সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৫-র প্রাপক মেসি এবং সাসিক।
অথচ, নিয়ম মতো, ব্যালন ডি’অরের মঞ্চেই বন্ধ খাম খুলে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ঘোষণা করেন পুরস্কারপ্রাপকের নাম। তারআগেই কোনওভাবে সেই নাম প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা নেই। তাৎপর্যময় ব্যাপার হচ্ছে, ২০০৮ থেকে ২০১৪, টানা সাত বছর ব্যালন ডি’অর ঘোরাফেরা করছে মেসি-রোনালদোর মধ্যে।
তবে ফিফা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মেসির নামে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তা ভূয়া বলেই দাবি করছে তারা। ফিফার পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় এ দাবি করা হয়। ব্যালণ ডি’অর জয়ীর তালিকা কোনভাবেই ফাঁস হয়নি। ফিফার অন্য একটি টুইটে দাবি করা হয়, ‘ভূয়া সংবাদটি এর আগে আরও একবার এসেছিল। গত নভেম্বরেই প্রথম একটি অনলাইনে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। আর ফিফার ওয়েবসাইটের ভূলে তালিকায় প্রকাশ হয়েছে বলে যে স্ক্রিনশট দেয়া হচ্ছে তা মূলতঃ ফিফা ওয়েবসাইটের নয়, সেটা হচ্ছে ইএসএম-এর একটি ওয়েব সাইট থেকে নেয়া। টুইটে সেই ওয়েব সাইটের লিঙ্কও দিয়ে দিয়েছে ফিফা।
আইএইচএস/এমএস