খুবিতে শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতি পালন
৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অর্থমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ ও অন্যান্য অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
খুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড মো. সারওয়ার জাহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. শামীম মাহবুবুল হক, প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উক্ত কর্মসূচি থেকে সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান বলেন, শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কোনো উচ্চ শিক্ষা বৃত্তির সুযোগ নেই যা আমলাদের রয়েছে। বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেই আমলারা সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পান, যা শিক্ষকদের জন্য নেই। এছাড়াও সুদমুক্ত গাড়ি, বাসাসহ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য সরকারি খরচে কর্মী পেয়ে থাকেন।
কিন্তু শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন ও আনুষঙ্গিক দায়িত্ব পালন করে যে ভাতা পান তা আমলাদের সিটিং অ্যালাউন্সের নগণ্য অংশ মাত্র। তিনি শিক্ষকদের জন্য ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল থাকুক কিন্তু ৭ম বেতন স্কেলে শিক্ষকদের যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তারই ধারাবাহিকতা বহাল থাকুক বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক ছলচাতুরি ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিসমূহ পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি। তিনি আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে ঘোষণা দেবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
কর্মসূচি থেকে আরও বলা হয় আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে যদি এর সুষ্ঠু সমাধান না হয় তাহলে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আলমগীর হান্নান/এসএস