কতিপয় ভিসি শিক্ষার্থীদের সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন: ইনু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২২
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু

দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, কিছু সমস্যা যা কাঁটার মতো পায়ে বিঁধছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কারও কারও কাণ্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা, আচার-আচরণ দুঃখজনক। ভাব দেখে মনে হচ্ছে, কতিপয় ভিসি ছাত্রছাত্রীদের সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার মিশনে নেমেছেন। এটা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে সরকারের নজর দেওয়া সরকার।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ইনু বলেন, মৌসুমে মৌসুমে জঙ্গিতাণ্ডব, জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে প্রমাণ হয় যে, হেফাজত-জামায়াত-জঙ্গিরা বদলায়নি। এরা বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড বেঈমান। পাকিস্তানপন্থার ধারক ও বাহক। এদের আত্মা পাকিস্তানি। এই সাম্প্রদায়িক চক্র বাংলাদেশের ধর্মরিপেক্ষতাকে হারাম বলে। আর ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে গেলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে হালাল বলে। আরাম মনে করে। এই দ্বিমুখী চালবাজির রাজনীতি বন্ধ করা দরকার। এটা প্রমাণ হয় যে, জেএমবি-জামায়াত-জঙ্গিরা হচ্ছে মাঠের অ্যাক্টর। জামায়াত হচ্ছে ডিরেক্টর। বিএনপি হচ্ছে প্রডিউসার। সুতরাং এরা পাক রুহানি শক্তি দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত। জেনেটিক্যালি সম্পর্কযুক্ত। তিন পক্ষকেই দমন ও বিদায় জানানো উচিত।

হেফাজতের বিভিন্ন তাণ্ডব, ধ্বংস ও এর ক্ষয়ক্ষতির ওপর শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেন তিনি। দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ারও দাবি জানান জাসদ সভাপতি। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

১৯৭১ সালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তদানের ক্ষমা চাওয়ার দাবি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলার জন্য স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সংবিধান পর্যালোচনা করা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান পর্যালোচনা ও সংস্কার করা দরকার। সে জন্যই সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদের বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করছি।

আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিবণ্টন নিশ্চিতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার এবং নদী কমিশনকে সক্রিয় করার আহ্বান আহ্বান জানান তিনি।

ইনু বলেন, সাম্প্রতিক ইউপি নির্বআচনে যে রক্তারক্তি-খুনাখুনি হয়েছে, তার দায় প্রশাসন এবং পুলিশ এড়াতে পারে না। তাদের এই দায় নেওয়া উচিত এবং সংশোধন হওয়া উচিত। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য ওঠানামা মূ্ল্যস্ফিতির জন্য নয়, বাজার কারসাজির জন্য। এ ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে জাতির পিতার ভাস্কর্য-ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে। অনেকেই যারা মুজিব কোট পরে, তারা ভয়ে মুজিব মিনার বানানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এটা দুঃখনজক।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলার কথা তুলে ধরে ইনু বলেন, সেখানে দেখে মনে হয়েছে, ওইখানে সরকার নেই, আইন নেই। আওয়ামী লীগ নেই। প্রশাসন নেই। জাসদ নেই। ১৪ দল এমপি-মন্ত্রী নেই।

এইচএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।