নিজামীর ফাঁসিতে নিজ জেলায় আনন্দ মিছিল
জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকায় বুধবার পাবনা ও সাঁথিয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। রায়ের খবরে সাঁথিয়ায় নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেন।
একই সঙ্গে তারা অবিলম্বে এই রায় বাস্তবায়নেরও জোর দাবি জানান। রায়ের খবর শোনার পর পরই পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এখানে বক্তব্য রাখেন, আব্দুর রহিম পাকন, শরিফ উদ্দিন প্রধান, মোস্তাফিজুর রহমান সুইট প্রমুখ। সাঁথিয়ায় রায় ঘোষণার পর পরই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা রায়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করে আনন্দ মিছিল বের করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ও নিজামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অন্যতম সাক্ষী এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জহুরুল হক, স্বাক্ষী তোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী, রবিউল করিম হিরু প্রমুখ।
সাক্ষী জহুরুল হক বলেন, একাত্তরে সাঁথিয়ার রুপসী-বাউশগাড়ি, ধুলাউড়ি, করমজা, শহীদ নগরসহ বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনী রাজাকার আল বদর, আল শামস এর সহায়তায় শত শত মানুষকে হত্যা, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায়। বহু নারীকে তারা ধর্ষণ করেন।
তিনি নিজামীর দণ্ডের রায় বহাল রাখার প্রতিক্রিয়ায় সন্তষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তাকে অনেক হুমকি ধামকি উপেক্ষা করেও মামলার কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। তিনি এই রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। মামলার অপর সাক্ষী তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারও একইভাবে রায়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এদিকে, নিজামীর রায়কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকেই পাবনা ও সাঁথিয়াসহ জেলার সব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
একে জামান/এমজেড/এমএস