কেন বিপজ্জনক হাইড্রোজেন বোমা


প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৬

উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার দাবি জানানোর পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছে। পিয়ং ইয়ংয়ের এ ধরনের কাজকে জাপানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অনুরোধে বুধবার আরো পরের দিকে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

 

গত ডিসেম্বরে পরমাণু বোমা সমৃদ্ধ দেশটির নেতা কিম জং উন হাইড্রোজেন বোমা তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান। এর আগে আরো তিনবার পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় পিয়ং ইয়ং।

হাইড্রোজেন বোমা কেন পরমাণু বোমার চেয়ে বিপজ্জনক সেবিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু বোমার চেয়ে হাইড্রোজেন বোমা বেশি শক্তিশালী।

লক্ষ্যবস্তুর উদ্দেশ্যে নিক্ষেপের পর এই বোমা থেকে পরমাণু বোমার চেয়ে কয়েক মাত্রার বেশি শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। একটি বিস্ফোরণে পুরো শহর নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে এই বোমা।

বিধ্বংসী এই বোমা অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারে তৈরি করা যায়। একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রের ভেতরে এটি অনায়াসেই লুকিয়ে রাখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালের আগস্টে হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে সর্বশেষ পরমাণু বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও কোনো যুদ্ধে হাইড্রোজেন বোমার ব্যবহার হয়নি।

বুধবার সকালে দেশটির পুঙ্গাই-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। এটি মানবসৃষ্ট ভূমিকম্প বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পুঙ্গাই-রি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্প শনাক্ত হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এটির উৎপত্তিস্থল ছিল ।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।