‘বাংলাদেশে নিরাপত্তার দায়িত্ব আইসিসির’
সিনিয়র দলের পর বাংলাদেশে আসছে না অস্ট্রেলিয়ার যুব ক্রিকেট দলও। একমাত্র কারণ, নিরাপত্তা শঙ্কা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ (যুব) ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে অন্যতম ফেভারিট দেশটি। তবে অস্ট্রেলিয়ার নাম প্রত্যাহারের পরই অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নেয়া নানা পদক্ষেপের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের অংশগ্রহকারী দেশগুলোরা নিরাপত্তার দায়িত্ব আইসিসির।’
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘আইসিসি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারসহ স্থানীয় সকল নিরাপত্তা সংস্থা থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দিয়েছি এবং খুব কাছে থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশেই এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।’
তবে বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সম্মান জানিয়ে নিজেদের হতাশার কথাও বলেছেন রিচার্ডসন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা বুঝতে পারছি, অস্ট্রেলিয়া সরকারের পরামর্শেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা; কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্তে আমরা অবশ্যই হতাশ।’
স্বাভাবিকভাবেই এমন বড় কোন টুর্নামেন্টে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভালের জন্য আইসিসির নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। সে বিষয়টা সম্পর্কেই নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন আইসিসি প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আইসিসির একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং দল থাকে। একটি নিরাপত্তা এজেন্সির মাধ্যমে এগুলো করা হয়ে থাকে। তারাই খুব কাছে থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
যুব বিশ্বকাপ হলেও এই টুর্নামেন্টটিকে আসল বিশ্বকাপের চেয়ে খুব কম গুরুত্ব আইসিসি দেয় না বলে মন্তব্য করেন রিচার্ডসন। ১৬ দলের টুর্নামেন্ট থেকে অস্ট্রেলিয়া তাদের দল প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আয়ারল্যান্ডকে খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি