নাসিক নির্বাচন: শুক্রবার ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখাবে ইসি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে কীভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেওয়া যায় তা শেখাবে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এদিন পরীক্ষামূলকভাবে ভোট দিতে পারবেন সেখানকার ভোটাররা। কারণ এবার নাসিক নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, নাসিকের সব ভোটকেন্দ্রেই ১৪ জানুয়ারি এই কার্যক্রম চলবে। এজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। মক ভোটিং অনুষ্ঠানে সব প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার উপস্থিত থেকে মক ভোটিং সম্পন্ন করবেন। মক ভোটিং শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার ইভিএম উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বুঝিয়ে দেবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রিসাইডিং অফিসাররা ভোটগ্রহণের আগের দিন ভোটগ্রহণের জন্য ব্যবহৃত ইভিএমসমূহ, বিভিন্ন কার্ড এবং আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে ম্যানুয়েলের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিটি ভোটকক্ষে স্থাপন করে নির্বাচন উপযোগী করে বিকেল ৪টার মধ্যে কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করবেন।
এই সিটিতে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস এবং বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী।
গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার এই সিটিতে এটি তৃতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট হয়।
এইচএস/এমআরআর/এএসএম