আওয়ামী লীগের জন্যও ১৯ শর্ত


প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৬

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ন্যায় আওয়ামী লীগকেও সমাবেশ করতে ১৯ শর্ত মানতে হবে। বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট ও রাসেল স্কয়ারের মধ্যে সমাবেশ সীমাবদ্ধ রেখে ১৯ শর্ত দিয়ে অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে।

সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় দ্বিতীয় দফায় আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, সমাবেশ করতে হলে কতিপয় শর্ত মানতে হবে দল আওয়ামী লীগকে।

পরে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী লীগকে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে ১৯ শর্ত দেয় ডিএমপি।

শর্তগুলো মেনে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার। এর ব্যত্যয় ঘটলে শক্ত হাতে দমন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সমাবেশ করতে হলে যেসব শর্ত মানতে হবে আওয়ামী লীগকে
১. শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট ও রাসেল স্কয়ারের মধ্যে সমাবেশের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২. রাস্তা ব্যবহার না করে কিংবা রাস্তা বন্ধ না করে কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে স্বল্প পরিসরে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে।
৩. জনসভায় স্বল্প সংখ্যক মাইক ব্যবহার করা যাবে।
৪. আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
৫. কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাইরে প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না।
৬. কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না।
৭. কোনো মহল বা গোষ্ঠী যাতে নাশকতামূলক কোনো কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে জনসভাস্থলে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ প্রবেশ করতে না পারে তা যথাযথ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. জনসভার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে পর্যাপ্ত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৯. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
১০. জনসভাস্থল ও এর চারপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১২. বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভার যাবতীয় কাজ শেষ করতে হবে।
১৩. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. মিছিলসহ জনসভাস্থলে আসা যাবে না।
১৫. কোনো ধরনের লাঠিসোটা/ ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
১৬. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৭. অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে এর অনুমতি আদেশ বাতিলসহ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।
১৮. উল্লেখিত শর্তাবলী অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৯. কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

জেইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।