বাণিজ্য মেলায় বহিরাগতদের উৎপাতে অতিষ্ঠ ক্রেতা-দর্শনার্থী
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পথশিশু, টোকাই ও অবৈধভাবে প্রবেশ করা বহিরাগতদের উৎপাতে অতিষ্ঠ ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
মেলার চতুর্থ দিন সোমবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা মেলায় হাটাচলা অবস্থায় বা কোনো কিছু কিনতে গেলে এসব বহিরাগত শিশুরা দর্শনার্থীদের কাছে হাত পেতে বসে থাকে। শুধু তাই নয় কোনো টাকা পয়সা না দিলে হাতে-পায়ে ধরাও বাকি রাখে না। বলা যায়, জোর করেই চেয়ে বসে।
তারা বলে, আপনেরা ৫-১০ টাকা না দিলে আমরা খাবো কি। দেন মামা ৫টা টাকা দেন।
কিভাবে মেলায় প্রবেশ করেছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মেলার চারদিকে সীমানা ঘেষে বিভিন্ন ফাক-ফোকর রয়েছে। এসব ফাকা জায়গা দিয়ে তারা প্রবেশ করে। প্রবেশে কেউ বাধা দেয় কি না জানতে চাইলে বলে তারা বলেন, দেখলে মাইর দেয়, তবে আমরা লুকিয়ে প্রবেশ করি। ভেতরে প্রবেশের পর আর কোনো সমস্যা নেই।
মেলায় জিনজিরা থেকে আগত দর্শনার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানন, তিনি তারা পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, মেলায় প্রবেশের পর আমি বাচ্চার জন্য বাক্স বিস্কুট কিনেছি। কিন্তু প্যাভিলিয়ন থেকে বাইরে বের হওয়ার পর কয়েকজন টোকাই আমার কাছে হাত পাততে শুরু করে। কেউ সামনে এসে দাঁড়ায় আবার কেউ পেছন দিক থেকে জামা টেনে ধরছে। যা অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মিরপুর থেকে আগত রুনা আক্তার বলেন, মেলায় এসে অনেক ভালো লেগেছে। এবারের মেলা অনেক আর্ষণীয় করা হয়েছে। প্রথম প্রথম হওয়ায় মানুষের ভিড় কম। তাই স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারছি। কিন্তু কয়েকজন বহিরাগত বাচ্চা প্রায় সময়ই টাকা চেয়ে বিরক্ত করছে।
মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের সামনে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, টোকাইদের বের করার বিষেয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। নির্দেশনা পেলে তাদের বের করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ, ১ জানুয়ারি শুক্রবার মাস ব্যাপি ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ২২টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য বা টিকিট মূল্য ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য থাকছে ২০ টাকা করে।
এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, জেনারেল প্যাভিলিয়ন ১০টি, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন ৩টি, ফরেন প্যাভিলিয়ন ৩৮টি অন্যতম। এ ছাড়া থাকছে প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৬টি, জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন ১৩টি, রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন ৬টি, ফুড স্টল ২৫টি, রেস্টুরেন্ট ৫টি।
এসআই/এসকেডি/পিআর