অপরিচিত যুবকের সঙ্গে চ্যাট, ব্ল্যাকমেইল করে কিশোরীকে ধর্ষণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে সপ্তম শ্রেণির কিশোরীর সঙ্গে চলে অপরিচিত যুবকের বার্তা আদান-প্রদান (চ্যাট)।
একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এই সুযোগে কিশোরীর কিছু ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে সংগ্রহ করেন সেই যুবক। এবার সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে দেখা করতে বলা হয়। সেই দেখায় তাকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন যুবক।
এরপর কিশোরীর পরিবারের দেওয়া অভিযোগের সূত্র ধরে মো. সুজন মিয়াকে (২৫) সিলেটের রেলওয়ে থানা এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। সোমবার (৩ জানুয়ারি) এমনটিই জানিয়েছে চট্টগ্রাম র্যাব।
অভিযুক্ত সুজনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মো. দিলু মিয়া।
র্যাব জানায়, গত ৩১ ডিসেম্বর তাদের কার্যালয়ে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ওইদিন তার ভাগনে ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এরপর র্যাব কিশোরীকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। একপর্যায়ে ১ জানুয়ারি সিলেটের রেলওয়ে এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে আটক করা হয় সুজনকেও।
এরপর রোববার (২ জানুয়ারি) কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক সুজনকে হস্তান্তর করা হয় সীতাকুণ্ড থানায়।
চট্টগ্রাম র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জাগো নিউজকে বলেন, সুজনকে চট্টগ্রাম র্যাব কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে তার চ্যাট হচ্ছিল। একপর্যায়ে কিশোরীকে সিলেটে বেড়াতে প্রস্তাব দেয়। কিশোরী রাজি না হলে তার আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে ভয় পেয়ে কিশোরী সিলেট চলে যায়। সিলেটে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে সে।
মিজানুর রহমান/জেডএইচ/এএসএম