লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতেই ই-ফাইলিং
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে দাফতরিক কাজে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতেই ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু
হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা চালুর কারণে জনগণ সেবার পেছনে ছুটবে না বরং সেবাই পৌঁছে যাবে জনগণের কাছে। এ প্রত্যয়কে সামনে রেখে সরকারের বিরামহীন প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ে ই-ফাইলিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন শেষের পথে।
পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি দফতরের প্রত্যেকটি দিক ও বিভাগ ই-ফাইলিং এর আওতায় আনা হবে। প্রযুক্তিবিদদের অভিমত, বিশ্ব অবাক হবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিপ্লব প্রত্যক্ষ করে। এখানে ভিন্ন কিংবা অন্য সরল যুক্তি প্রদানের অবকাশ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে এমন স্বপ্নের সিঁড়ি বানানোর কারিগর হিসেবে নিরলস কাজ করছেন তারুণ্যের অহংকার আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি এ বিষয়ে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, দাফতরিক কাজে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে সংস্থাগুলোতে একযোগে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে সব মন্ত্রণালয়ে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০টির বেশি মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। সব সাইট বাংলায় করা হয়েছে এবং বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে এ কার্যক্রম চালানো যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা হবে ভবনের পিলারের মতো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-ফাইলিং ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ, নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, ব্যাকআপ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা লাগবে, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না হারায়।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছের সূত্র ধরেই আজ ই-ফাইলিং অত্যাবশ্যকীয় উদ্যোগ। জনগণ ও সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করবে এই ব্যবস্থা । ফাইলের স্তুপ নিয়ে আর ঘোরা লাগবে না। সরকারের সঙ্গে সাধারণ জনগণের দূরত্বও কমাবে এটি। এটি যেন একটি স্বচ্ছ কাঁচের ঘর। যেখানে সরকার, জনগণসহ সব থাকবে। সরকারের দক্ষতা শতভাগ বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই কার্যক্রমকে আর্শীবাদ হিসেবে উল্লেখ করে প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জাব্বার বলেন, ই-ফাইলিং ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে সার্বিক অর্থে লাল ফিতায় বাঁধা ফাইলের দিন শেষ হয়ে যাবে। আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং সিস্টমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তনের ফলে বাংলাদেশের সরকারি দফতরগুলোকে শতভাগ নিয়মের মধ্যে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।
ই-ফাইলিং সরকার ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়াবে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও। ই-ফাইলিং এ সরকারের দক্ষতা শতভাগ বেড়ে যাবে বলেও আশা তার। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় ই-ফাইলিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরএম/জেডএইচ/এমএস