বিদেশি পর্যটক টানতে ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ নেই পর্যটন করপোরেশনের
৫০ বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। সুযোগ-সুবিধার সীমাবদ্ধতা, অবকাঠামো সংকটসহ নানান কারণে বিদেশি পর্যটক কমছেই। দীর্ঘ এই পথচলায় এখনো বিদেশি পর্যটক টানতে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেনি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে শুধু পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসেন মাত্র ৫ শতাংশ বিদেশি।
শনিবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত হলে ‘পথচলার ৫০’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। আলোচনা অনুষ্ঠান, লোগো উন্মোচন, কেক কাটা, র্যালিসহ নানান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিদেশি পর্যটকদের টানতে পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পরিকল্পনার কথা তিনি বলতে পারেননি।
তবে ভিন দেশের পর্যটক না আসার পেছনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়াকে দায়ী করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে ২৮ বছর আওয়ামী ক্ষমতায় ছিল না। এরশাদ, জিয়া, খালেদা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় না থাকলেও আদর্শিকভাবে তারা এক ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পর্যটনের উন্নয়নে কিছুই করা হয়নি।’
উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত কিছু উন্নয়ন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম অনেক বেড়েছে। সুযোগ-সুবিধা অনেকে বেড়েছে। আগামীতে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়নো হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরাতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরির চেষ্টা করছে সরকার। বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যার প্রভাবে বিদেশি পর্যটক কমে যায়। তবে মাঝে আবারও আসা শুরু হয়েছিল। করোনা আসায় সেটা আবারও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারেকে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিস্ট হাব করার পরিকল্পনা করছি। রাতারাতি কোনো কিছু হয়ে যাবে না। তবে বাস্তবায়ন হলে সেটা আপনারা দেখতে পারবেন।’
পর্যটন নিয়ে পরিকল্পনা ও অর্জন বিষয়ে সচিব বলেন, ‘ট্যুরিজম সেক্টরে অনেক অর্জন আছে। জিডিপিতে এই সেক্টরের অবদান বেড়েছে। ২০২১ সালে ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড আইনটা করা হয়েছে। আরও অবকাঠামো হচ্ছে।’
বিদেশিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম, সাবরাং ইকো-ট্যুরিজম বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারে শেখ হাসিনা টাওয়ারের বড় প্রজেক্ট আছে। বিদেশি আসলে সুযোগ-সুবিধা অবারিত করার চেষ্টা করছি। সরকার এসব বিষয়ে আন্তরিক।
এসএম/এএএইচ