আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দিলেন শিক্ষক, বিয়ে ভেঙে গেলো ছাত্রীর
স্কুলে পড়ার সময় ছাত্রীর সঙ্গে গড়ে তুলেন প্রেমের সম্পর্ক। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ধারণ করে সংরক্ষণ করে রাখেন শিক্ষক। একপর্যায়ে তাদের সেই প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী কলেজে পড়ার সময় তার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। এবার হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ব্যক্তিগত মুহূর্তে ধারণ করা সেই ছবি পাঠিয়ে দেন শিক্ষক। এতে করে ভেঙে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বিয়ে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. নুর উদ্দিনকে (২৯) আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
নুর উদ্দিন ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি ভাটিয়ারী মৌলভীপাড়া এলাকায় এবং তিনি ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর এক ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করেন তার মেয়ে তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালতে পড়ার সময় স্কুলশিক্ষক নুর উদ্দিন নানা সময় উত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। নানা সময়ে মেলামেশা করে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ধারণ করে রাখেন। কিন্তু শিক্ষকের অপকর্ম জেনে যাওয়ার পর তার মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুর উদ্দিন ছাত্রীকে অপহরণ, এসিড নিক্ষেপ এবং বিয়ে ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।
কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। বিষয়টি জেনে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীর হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহে থাকা আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেন। এতে ভেঙে যায় বিয়ে। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা চট্টগ্রাম র্যাব কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জাগো নিউজকে বলেন, ছবি ছড়িয়ে বিয়ে ভাঙার বিষয়ে ভুক্তভোগী বাবার দায়ের করা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে র্যাব। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় শুক্রবার অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে এরই মধ্যে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান/এমএএইচ/এএসএম