‘বিশ্বকাপ এবং এশিয়াকাপে ভালো করবে বাংলাদেশ’
উইকেটে নেমে ধীরস্থিরভাবে ব্যাট করতে পছন্দ করেন তিনি। বিশ্বকাপের পর থেকে অনেকই তাকে মিস্টার ডিপেন্ডেবল বলে অভিহিত করেন। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে টি-টোয়েন্টিরও ব্যাটসম্যান সেটা জানা গেছে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে। টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে নেতৃত্বগুণেও সমৃদ্ধ রিয়াদ। ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান নন’- এই বদনাম বিপিএলে ঘোচালেও, অনেকে এখনও তার সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। টি-টোয়েন্টিতে বল যাচাই করার সুযোগ থাকে কম। তারপরও নিজেকে ভালো টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসাবে ভাবেন এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ভালো খেলায় তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমার মনে হয় না টি-টোয়েন্টিতে আমি খুব একটা খারাপ খেলোয়াড়। জানি না অন্যরা কিভাবে দেখে। আমার মনে হয়, আমি খুব আত্মবিশ্বাসী এই সংস্করণে। বিপিএল ভালো হওয়ার কারনে আমার আত্মবিশ্বাস এখন অনেক ভালো। ক্রিকেট প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অনেক কিছু শেখায়। আমাকে আরও কষ্ট করতে হবে। এর জন্য আমি প্রস্তুত।’
বিপিএলে এবার ১৩ ম্যাচের ১২টি ইনিংসে ব্যাট করে ২৭৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ২৭.৯০ গড়ে রান তুললেও তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০.৩৫। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কিছুটা বেমানান হলেও এবারের আসরে বোলারদের দাপটের কারণে বেশ ভালো পরিসংখ্যানই বলা যায়। তবে এই সংস্করণে নিজেকে আরও উন্নত করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমার পরিশ্রমের পরিধিটা আরও বাড়াতে হবে। চেষ্টা করছি পরিশ্রম করে নিজেকে আরও ভালো খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। এখান থেকে পেছনে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’
বিপিএলে অধিকাংশ ম্যাচে চার নাম্বারে ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। জাতীয় দলেও এমন অবস্থানে ব্যাট করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করে উপরের দিকে ব্যাটিং করাটাই ভালো সেক্ষেত্রে করবো। এটা পুরটোই টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। উপরে ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে আরও ভালো হবে। কিন্তু পুরোটাই তাদের উপর নির্ভর করে।’
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি