দেশের সকল বধ্যভূমি রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বধ্যভূমি সংরক্ষণে জনগণের সেন্টিমেন্টের বিপক্ষে আমরা নয়। দেশের সকল বধ্যভূমি রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকার বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত বরিশালের কীর্তণখোলার নদীর তীরে ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি সংলগ্ন এলাকায় সাইলো নির্মাণস্থলে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার। এ কারণেই যুদ্ধকালীন সময় ঘাতকদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে। যা আমরা চিন্তাও করতে পারি না তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ঘাতকদের বিচার করা হবে।
মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বধ্যভূমি এলাকা থেকে সাইলোর প্রজেক্ট অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবিতে আন্দোলনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমির সামান্যতম ক্ষতি হবে না। প্রয়োজন হলে বধ্যভূমির জন্য আরো ৩ বিঘা জমি ছেড়ে দেয়া হবে। বধ্যভূমির উন্নয়নে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন বরিশাল জেলা আওয়াী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি ও বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আইনজীবী মানবেন্দ্র বটব্যাল।
উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, বরিশাল-৩ আসনের টিপু সুলতান এমপিসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, গত বছর নগরীর ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জমির উপর সাইলো নির্মাণ করার লক্ষ্যে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় জমির উন্নয়ন ও বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সেখানে ২শ কোটি টাকার কাজ হবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জলাধার ভরাট কাজ শুরু করা হলে ক্ষুদ্ধ নাগরিক সংগঠনগুলো ও মুক্তিযোদ্ধারা এর প্রতিবাদ জানায়। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া জলাধার ভরাট করার অভিযোগে ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আজ বিমানযোগে খাদ্যমন্ত্রী বরিশালে এসে বধ্যভূমি সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা করেন।
সাইফ আমীন/এমএএস/আরআইপি