বাংলাদেশি ব্লগার নিয়ে প্রতিবেদন মুছে দিল পাকিস্তান


প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশি ব্লগারদের নিয়ে লেখা প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশ হলেও পত্রিকাটির পাকিস্তানি প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশ করা হয়নি। সংকটের মুখে বাংলাদেশি ব্লগাররা শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটির জায়গা ফাঁকা রেখে পাকিস্তানি প্রিন্ট সংস্করণটি ছাপানো হয়েছে।   

ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোসুয়া হ্যামার নামে জার্মানির ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের আন্তর্জাতিক সংস্করণে প্রতিবেদনটি প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ছাপানো হয়েছে। তবে পত্রিকাটির পাকিস্তানি সংস্করণে ওই সংবাদের জায়গা ফাঁকা রেখেই পত্রিকা প্রকাশ করেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তান প্রতিনিধি সালমান মাসুদ পত্রিকাটির একটি ছবি টুইট করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ব্লগারদের নিয়ে করা ওই প্রতিবেদনটি অনলাইন সংস্করণে জায়গা পেলেও প্রিন্ট সংস্করণে ওই সংবাদের জায়গা ফাঁকা রেখে পত্রিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

new
বাংলাদেশে ব্লগারদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, লিঙ্গ সমতা, মানবাধিকার ও  মৌলবাদীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করছে ব্লগাররা। মুক্ত চিন্তা, নাস্তিক্য মতবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগিং করার কারণে এদের মধ্যে আসিফ মহিউদ্দিন অন্যতম। এর আগে তিনি বাংলাদেশে একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় হামলার শিকার হন।

অসিফ মহিউদ্দিনসহ বাংলাদেশে অন্য ব্লগারদের ওপর হামলার সঙ্গে মাদরাসা ছাত্ররা জড়িত উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্লগারদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও তাদের সম্পর্কে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে তথ্য দিচ্ছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত আগস্টে রাজধানী ঢাকায় নিজ বাসায় আরেক ব্লগার নিলয় নিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অক্টোবরে ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার অভিজিত রায়কে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে স্থানীয় জঙ্গিরা। ওই হামলায় আরো তিন ব্লগার আহত হয়। এছাড়া জঙ্গিবাদ নিয়ে সমালোচনামূলক লেখার কারণে গত বছর অন্তত আরো চার নাস্তিক ব্লগার খুন হয়েছে।

এসআইএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।