‘হয়তো অপারেটর ইঞ্জিন রুমে ছিলেন না বা আগুন লাগার পর পালিয়েছেন’
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত নৌযানটির ইঞ্জিন রুম থেকেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যখন অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে তখন হয়তো ইঞ্জিন রুমের অপারেটর সেখানে ছিলেন না অথবা আগুন লাগার পরে তিনি পালিয়ে গেছেন।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে এমন ‘ধারণার কথা’ জানিয়েছেন নৌপুলিশের বরিশাল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
ছবি: জাগো নিউজ
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নৌপুলিশের কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, অগ্নিদগ্ধ লঞ্চটির হাসপাতালে আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইঞ্জিন রুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন রুমের অপারেটর ইঞ্জিন রুমে ছিলেন না অথবা আগুন লাগার পরে তিনি পালিয়ে গেছেন।
ছবি: জাগো নিউজ
তিনি বলেন, গত রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চটি যখন নলছিটি ক্রস করে তখন এর ইঞ্জিনে আগুন লাগে। কিন্তু লঞ্চটি নলছিটিতেও স্টপেজ দেয়নি, এমনকি ঝালকাঠিতেও স্টপেজ দেয়নি।
‘ইঞ্জিন রুমের ওপরে থাকেন লঞ্চের সারেং। ইঞ্জিন অপারেটর নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারেং লঞ্চ থামাবেন না অথবা ঘাটে ভেড়াবেন না। ধারণা করা হচ্ছে লঞ্চের সারেং প্রথমে আগুন লাগার খবর জানতে পারেননি। এ কারণে আগুন লাগার একঘণ্টা ধরেও লঞ্চ চলতে থাকে।’
ছবি: জাগো নিউজ
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, নৌপুলিশ এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত বা যাদের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
অগ্নিকাণ্ড তদন্তে একাধিক কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। তাদেরও লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
টিটি/এইচএ/এমএস