লঞ্চে আগুন: দগ্ধ ৪ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ শিশুসহ চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। দগ্ধ এই চারজন হলেন- জেসমিন আক্তার (৩৫), তার ছেলে তামিম হাসান (০৮), বাচ্চু মিয়া (৫০) ও তার মেয়ে সাদিয়া (২০)।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটার পরে দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে দুজনকে ও পরে আরও দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধ জেসমিন আক্তারের খালু আবুল হোসেন জানান, জেসমিনের স্বামী খলিলুর রহমান বরগুনায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই লঞ্চে জেসমিন ছেলে তামিম ও মেয়ে মাহিনুরকে নিয়ে স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘটনাটি ঘটে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলেই মাহিনুর আগুনে পুড়ে মারা যায়। ছেলে-মেয়েদের দিয়ে জেসমিন কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডা এলাকায় বসবাস করেন বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে জেসমিন আক্তারের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে ও তার ছেলে তামিম হাসানের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও মায়ের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাদের দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে চারজন এসেছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরএসএম/কেএসআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।