শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মারা সেই মেয়র বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার উপ-সচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জামালপুর জেলাধীন দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাে. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে মাে. মেহের উল্লাহ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, দেওয়ানগঞ্জকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

সরকারি দায়িত্ব পালনরত মাে. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় পৌর মেয়র মাে. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ’র বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে মেয়রের বিরুদ্ধে আসা অভিযােগের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

মাে. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ’র আচরণ শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল যা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থি বলে সরকার মনে করে। এ কারণে তাকে স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩১-এর উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলাে।

এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলাে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

গত ১৬ ডিসেম্বর দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে বিজয় দিবসের পুষ্পস্তবক অর্পণে নামের সিরিয়াল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং থাপ্পড় মারেন।

পরে লাঞ্ছিত শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান এবং থানায় মামলা করেন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলে পৌর মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আইএইচআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।