ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা: মিথ্যা উপাধি ব্যবহারে জেল-জরিমানা
‘বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে জেল-জরিমানা হতে পারে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রীরা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করার জন্য একটা বিধান ছিল। ১৯৮৩ সালের একটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে। এতে রয়েছে ৫০টি ধারা। আইনে ঢাকায় একটি আয়ুর্বেদিক বোর্ড থাকার কথা বলা হয়েছে। এই বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যে কোনো স্থানে শাখা করা যাবে।
কাউন্সিলে একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, চেয়ারম্যান সভাপতি এবং একজন রেজিস্ট্রার থাকবেন। বছর শেষে বোর্ড সার্বিক প্রতিবেদন সরকারকে দেবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খসড়া আইন অনুযায়ী মেডিকেল কাউন্সিলের মতো একটি কাউন্সিল থাকবে জানিয়ে সচিব বলেন, তারা একাডেমিক বিষয়গুলো দেখবে। বোর্ড কাউন্সিল নির্বাচন করবে। তারা না পারলে সরকার সভাপতি নির্বাচন করবে। কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হবে তিন বছরের জন্য। কাউন্সিলই নির্বাচন করবে সভাপতি।
কাউন্সিলে ১৬ ক্যাটাগরির সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে তিনজন সংসদ সদস্য, যাদের স্পিকার মনোনয়ন দেবেন বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডিজি হেলথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা মেডিকেল থেকে মেডিসিন অনুষদের একজন ডিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের রেজিস্ট্রার, সরকারি পর্যায়ে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ- এরকম প্রায় ১৯-২০ জন সদস্য থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কাউন্সিলের কাজ হলো- ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রির রেজিস্ট্রেশন, গবেষণা বা বিশেষ শিক্ষা প্রবর্তন করাসহ অন্যান্য গবেষণা, আর্থিক স্বীকৃতি এবং প্রকাশনা।
ইউনানি চিকিৎসকরা ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা কাউন্সিল নির্ধারণ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনে কিছু সাজার বিধানও রাখা হয়েছে। কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনুমোদনহীন ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিলেও এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। এছাড়া কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ডিগ্রির অনুকরণ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আরএমএম/জেডএইচ/জেআইএম