মাদারীপুরে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ৩০
মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। এসময় প্রায় ৫টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ঠেকাতে মাদারীপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় পুলিশ ছয় রাউন্ড শর্টগানের গুলি ব্যবহার করে। এসময় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করে।
পুলিশ, আহত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালকিনি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. তোফাজ্জেল হোসেন দাদন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করেন মো. তোফাজ্জেল হোসেন বেপারী। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তোফাজ্জেল হোসেন বেপারীর সমর্থকরা পৌরসভার ঝুরগা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা ঝুরগার খলিসাডুবি গ্রামের শুক্রবার দুপুরে মাস্টার সনাতন সরকারের বাড়িসহ ৫টি ঘর-বাড়িতে লুটপাট চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুমার নামাজের পর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংর্ঘষ বাধে। এসময় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
আহতরা হলেন, লিটন বেপারী (৩৯), মো. রিফাত (২০), জহুরুল (৩০), পলি (৩০), বি.এম তোফাজ্জেল হোসেন দাদন (৩৬), রফিক সরদার (২৫), মজিবুর রহামান (২৮), আমজাদ সরদার (৭০), মিজানুর রহমান (৫৫), আকবর হোসেন (১৫), রানু (৪০), রানা (১৮), পঙ্কজ মণ্ডল (২৮), পলাশ মণ্ডল (২৭), দিপারানী সরকার (৩০), আশুতোষ সরকার (১৭), রতন মণ্ডল (৪২), নারায়ন মণ্ডল (৫৫), রিপা (১৬), প্রতিম সরকার (১২) প্রমুখ। আহতদের মাদারীপুর সদর ও কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তোফাজ্জেল হোসেন বেপারীর সমর্থকরা পৌরসভার ঝুরগা গ্রামে হিন্দু অধ্যাষিত এলাকা ঝুরগার খলিসাডুবি গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালান।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, ২ কাউন্সিলরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে শর্টগানের বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এখনো অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/এমএস