দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে আসামি প্রদীপ দাশের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন হয়। তবে এ সময় মামলার অপর আসামি চুমকি কারণ পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দুই দফা তারিখ পিছিয়ে আজ (বুধবার) দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। আদালত দুদকের দায়ের করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি। এরপর ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর আজ (বুধবার) অভিযোগ গঠন করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ করা হলে একই বছরের জুন মাসে তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। এরপর প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি হয়।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় ওসি প্রদীপ এখন কারাগারে আছেন।
মিজানুর রহমান/এসএইচএস/জেআইএম