বিজিবির প্রত্যাশা : সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও সম্পর্ক উন্নয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৬

বিদায় নিয়েছে ২০১৫, এসেছে নতুন বছর। বিদায়ী বছরে আলোনায় ছিল সীমান্ত হত্যা ইস্যু। তবে বসে নেই বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনী-বিজিবিও। সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও অহেতুক ভুল বোঝাবুঝির কারণে যেন প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি না ঘটে নতুন বছরে এমন প্রত্যাশাই বিজিবির। শুধু তাই নয়, এ জন্য পরিকল্পনাও রয়েছে বাংলাদেশে সীমান্ত রক্ষাকারী এ বাহিনীটির।

বিদায়ী বছরে (২০১৫ সাল) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে ও শারীরিক নির্যাতনে ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন। অপহরণের পর ফিরে আসতে পেরেছেন মাত্র ২৭ জন। এছাড়া গুলি ও নির্যাতনে আহত হয়েছেন শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক।

বিদায়ী বছরটিতে মায়ানমারের বর্ডার পুলিশের সঙ্গেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশি বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে যাওয়ারও তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়ে বিজিবির। এতো কিছু ছাপিয়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধে সম্পর্ক উন্নয়ন জোরদার করতে চায় বিজিবি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)`র মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও মাদকসহ সকল ধরণের চোরাচালান বন্ধ করা। বিশেষ গুরুত্ব পাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন। চোরাকারবারীদের সঙ্গে বিজিবির কোনো সদস্যের সম্পর্কও ছাড় দেয়া হবে না।
 
তিনি আরো বলেন, আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধে বরাবরের ন্যায় জিরো টলারেন্স দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ বছরে যেন সীমান্ত হত্যা না ঘটে সে জন্য বিজিবি-বিএসএফ দ্বিপাক্ষিক পরিকল্পনাও রয়েছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্যাটল ফার্মিংকে যেন গুরুত্ব দেয়া হয় সেজন্য সরকারকে বিজিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হবে।

সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরে বিজিবি ডিজি বলেন, বৈশ্বিক এই যুগে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে নতুন বছরটিতে।
 
সীমান্তবর্তী দেশ ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য আদান প্রদানে গতি আনতে সীমান্ত এলাকায় গঠন করা হচ্ছে লিয়াজো অফিস। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক ধৃত, অপহৃত অথবা অপর দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলে তাদের ছাড়িয়ে আনার প্রক্রিয়া আরো গতি পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত ও মায়ানমার সফরকে প্রাধান্য দেয়া হবে। আমরা সফরে যাবো এবং তাদেরকেও বাংলাদেশ সফরে আহ্বান জানানো হবে। দেশগুলোর সীমান্ত বাহিনীর ডিজি লেভেলেও সম্মেলনের কথা ভাবা হচ্ছে।
 
বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে মায়ানমার বর্ডার পুলিশের সঙ্গের সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজিবি ও বিজিপি (মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ) মধ্যে যোগাযোগে লিয়াজো অফিস স্থাপনে  দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি এখন শুধু আনুষ্ঠানিক অনুমতির অপেক্ষায়।

জেইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।