রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে হাসপাতালে দুইজন

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

রাজধানীর বাড্ডা ও ফার্মগেট এলাকায় পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তারা হলেন তোফায়েল আহমেদ (৩৭), অন্যজনের নাম জানা যায়নি।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে একজনকে ও বিকেলে অন্যজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। পরে তাদের স্টমাক ওয়াশ দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে উত্তর বাড্ডা ফুটওভার ব্রিজের কাছ থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আশপাশের লোকজনের মুখে জানতে পারি লোকটি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল। পরে পথচারীরা ৯৯৯ এ কল দিলে আমরা এসে তাকে উদ্ধার করি। তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। ঢামেক থেকে বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে ফার্মগেট এলাকার আলরাজি হাসপাতালের সামনে থেকে বিআরটিসির একটি বাসে মো. তোফায়েল আহমেদকে (৩৭) অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই বাসের হেলপার তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে আনেন। পরে সেখানে তাকে স্টমাক ওয়াশ দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তোফায়েলের মামাতো ভাই পারভেজ বলেন, আমার ভাইকে বিআরটিসি বাসে কে বা কারা চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করে। আমি খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে তাকে পাই। পরে স্টমাক ওয়াশ দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তোফায়েলের বাসা কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফার্মগেট ও বাড্ডায় দুই ব্যক্তি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে স্টমাক ওয়াশ দিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ভর্তি রয়েছে।

এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।