‘অশোভন বক্তব্য দিলে আ’লীগ ব্যবস্থা নেয়, বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ অশোভন বক্তব্য দিলে, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু বিএনপি তাদের নেতাদের অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। উল্টো তারা পৃষ্ঠপোষকতা করে।’
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ‘তারুণ্যের তর্জনী’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন (বাসককফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এবং ড. আনোয়ার হোসেন খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইশরাক হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক অশোভন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কাউকে বিবৃতি দিতেও দেখিনি। সরকারি দলের কেউ বললে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে সরকার বা দল যে কাউকে ছাড় দেয় না, সেই প্রমাণ সবাই পেয়েছেন। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে সবাই কেন নিশ্চুপ ছিলেন, সেটিই আমার প্রশ্ন।’
তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের নেতারা এ অনাচারগুলো করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এম এ মালেক ইউ কে থেকে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে, এরপর কি তার দলীয় পদ থাকা উচিত ছিল? সেগুলো এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। তাকে তো দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তার অর্থ যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে ও নোংরা কথাবার্তা বলে, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, আয়নায় নিজের দিকে তাকানোর জন্য। নিজের গায়ে দুর্গন্ধ মেখে অন্যের দুর্গন্ধ খোঁজা উচিত নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার দায়িত্বাধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য, কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। যেহেতু সেগুলো সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় পদ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে। তার কিছু বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এবং বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতারাও বক্তব্য রেখেছে। সেই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ কেউ অন্যায় করলে অবশ্যই প্রতিবাদ হয়।’
‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতারা যখন এ ধরনের অশোভন কথা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন, তাদের বিরুদ্ধে তাদের দল কখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, বিবৃতিও দেননি। এমনকি নারী নেতৃবৃন্দ, যারা মুরাদ হাসানের ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছেন, তাদেরকেও বিএনপির অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখিনি’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সরকারি কর্মচারিদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, ‘সরকারি কর্মপরিচালনায় তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।’
বাসককফ সভাপতি হেদায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফর রহমান খান ও অন্যান্য নেতাদের বক্তৃতা শেষে অতিথিরা বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম