এবার চট্টগ্রামে নালায় তলিয়ে গেলো ১০ বছরের শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকার নালায় পড়ে মো. কামাল (১০) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম কাউসার। তিনি ওই এলাকায় বসবাস করেন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ষোলশহরের চাঁন্দগাও সার্কেলের ভূমি অফিসের সামনের খালে শিশুটি নিখোঁজ হয়। তবে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এরপর মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শিশুর সন্ধান মেলেনি। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম এবং তিনটি ইউনিট কাজ করছে। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের একটি টিম নালা থেকে ময়লা তোলার কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আরেক শিশুর সঙ্গে নালায় বোতল কুড়াতে নেমে নিখোঁজ হয় কামাল। পরে তার সঙ্গে থাকা শিশুটি নালা থেকে উঠতে পারলেও তলিয়ে যায় কামাল। তবে এ ঘটনা ফায়ার সার্ভিসকে জানাননি নিখোঁজ শিশুর স্বজনরা।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকেল ৪টা থেকে অভিযান শুরু করেছি। এখনো কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়া শিশুর সঙ্গে থাকা অন্য শিশুটির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সে জানিয়েছে, বোতল খুঁজতে তারা দুজন নালায় নেমেছিল। নিখোঁজ শিশুর বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস এখানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে আসবে বলে তার ধারণা ছিল না। এজন্য জানানো হয়নি।’

গত ৩০ জুন নগরের ২ নম্বর গেটে মেয়র গলিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মারা যান অটোরিকশায় থাকা খতিজা বেগম ও চালক সুলতান।

৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে সালেহ আহমদ নালায় তলিয়ে যান। এখনো তার খোঁজ মেলেনি। সবশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকার একটি নালায় তলিয়ে মারা যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া।

এদিকে, নালায় তলিয়ে সালেহ আহমদ নিখোঁজের পর চসিক-সিডিএ পরস্পরকে দোষারোপ করেন। একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দায়ী কে, তা জানতে চান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে।

মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।

তাদের তদন্তে ঘটনায় মূল দায়ী করা হয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ)। একই ঘটনায় নগরের প্রধান সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দায়িত্বহীনতার বিষয়টিও উঠে আসে।

মিজানুর রহমান/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।