সরকার উৎখাতের আন্দোলনে জনসমর্থন নেই : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের সরকার উৎখাতের আন্দোলন মুখেই সীমাবদ্ধ, এতে জনগনের কোনো সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে অধ্যাপক আলী আশরাফের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার সময় বেঁধে দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের এ আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছেনা। বিএনপি-জামায়াতের সরকার উৎখাতের আন্দোলন মুখেই সীমাবদ্ধ। এতে জনগনের কোনো সমর্থন নেই। আল্লাহর রহমতে সরকারের প্রতি জনগণের অগাধ আস্থা রয়েছে।
ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইপিইউ এবং সিপিএ) প্রধান নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সরকারের সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কেরই ইঙ্গিত দেয়। এর মধ্য দিয়ে এটাই নিশ্চিত হয়েছে যে, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পুরোপুরি আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কাউন্সিলের (ওআইসি) মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকারে যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল সে একজন যুদ্ধাপরাধী। প্রথম পর্যায়ে সে পেয়েছিল মাত্র এক ভোট এবং পরের পর্যায়ে সে নিজের ভোট ছাড়া অন্য কোনো ভোটও পায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র বাংলাদেশেই যুদ্ধাপরাধ আইনে সংশিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বাইরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামী ও বাদী পক্ষের আপিল করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, যে কোন দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের সেই দিকনির্দেশনা রয়েছে এবং সে অনুযায়ী দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশের জনগণ ভালভাবেই জানে, যে দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই রাজনৈতিক দলই শুধু পারে দেশকে উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে।
প্রধানমন্ত্রী সকল সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রমের সঠিক বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশে কোন টাকাওয়ালা তৈরী করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়, জনগণের মৌলিক চাহিদা মেটানো এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এই সরকারের লক্ষ্য।
স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।