বৃহস্পতিবার আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার আদালতে যাবেন না বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, অসুস্থতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে বৃহস্পতিবার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন তিনি।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাছাড়া তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই আদালতে যাবেন না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হবে।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে খাালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার চার সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা এবং নতুন এক সাক্ষীর শেষ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) হারুন-অর রশিদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এরপর পরবর্তী তারিখ ধার্য করে আদেশ দেন আদালত। মামলার বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে এই মামলায় ৩১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ মামলার ২৭ থেকে ৩০তম সাক্ষী (জব্দ তালিকার সাক্ষী) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম আব্দুল গফুর, এজিএম মো. হারুন অর রশীদ, মিরপুর শিল্প এলাকা শাখার ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ ফকির ও জিএম আমিন উদ্দিন আহমেদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান।
অন্য আসামিদের পক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট টিএম আকবর ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। এরপর ৩১তম সাক্ষী মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র ম্যানেজার কাজী রশিদউজ্জামানের পুরো এবং ৩২তম সাক্ষী মামলার আইও দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর