বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ


প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পরিপত্রের মাধ্যমে এখন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তারা প্রতিবছর পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য তালিকা করে দেবে। আজ বুধবার জারিকৃত পরিপত্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানিজিং কমিটি-গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলার চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠাবে। এনটিআরসিএ প্রতিবছর প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত সকল পরীক্ষা গ্রহণ করে চাহিদা অনুযায়ী পদ/বিষয় ভিত্তিক জাতীয় বিভাগ-জেলা-উপজেলা-থানাওয়ারী মেধাক্রম তৈরি করে ফলাফল ঘোষণা করবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে প্রথম পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের ন্যূনতম দুই মাস আগে প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামোতে সরকার নির্ধারিত কোটার প্রাপ্যতা উল্লেখপূর্বক এনটিআরসিএতে অধিযাচনপত্র পাঠাবে। এনটিআরসিএ ওই অধিযাচনের ভিত্তিতে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এবং নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অনলাইনে আবেদন করবেন।

পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ অনলাইনে আবেদন প্রাপ্তির পর চাহিদা ও মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের অবহিত রেখে নিয়োগযোগ্য প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে প্রার্থীর নাম অধিযাচন প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে। সে অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি এক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেবে। এনটিআরসিএ কর্তৃক কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের সময় সংশ্লিষ্ট মেধা তালিকা বিবেচনা করবে। তবে বিভাগীয় সদর এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন। অগ্রাধিকার প্রার্থী পাওয়া না গেলে জাতীয় মেধা তালিকা অনুসারে নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রাধিকার বিবেচনা করা হবে না। এক্ষেত্রে জাতীয় মেধা তালিকা অনুসরণ করতে হবে। কর্মরত শিক্ষক যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন তবে তাকেও অন্যদের মতো আবেদনকারীদের একইরূপে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচিত করা হবে।

ইতিপূর্বে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাসকৃতদের সনদে উল্লেখিত ঐচ্ছিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য মেধাক্রম নির্ধারিত হবে।

এনএম/এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।